ড্রাকুলা (গ্রাফিক নোভেল)

ব্রাম স্টোকারের বিখ্যাত হরর উপন্যাস ড্রাকুলা। বইটির আবেদন বেড়েই চলেছে।এই বইটি অরিজিনাল উপন্যাসটির গ্রাফিক নোভেল সংস্করণ।

Read More

লিজিয়ন-বই পরিচিতি

স্টিফেনের কাছে একটা সাদা খাম এসেছে। নাম-ঠিকানা কিচ্ছু নেই খামে। ভেতরে শুধু একটা ফটোগ্রাফ। কিন্তু ফটোগ্রাফটা যেই সময়ের সেই সময় ক্যামেরা নামক যন্ত্রটার অস্তিত্বই ছিল না। আবিষ্কৃতই হয়নি।

Read More

গেম অব থ্রোনস (গ্রাফিক নোভেল)

জর্জ আর আর মার্টিন-র বিশ্বব্যাপী সাড়াজাগানো গেম অফ থ্রোনস অবলম্বনে গ্রাফিক নোভেল।
গেম অব থ্রোনসের গ্রাফিক নোভেল পড়তে গিয়ে মনে হল একই রকম কিছু করাই যায়! যা ভাবা তাই কাজ। যদিও কাজ তেমন পারি না, তবুও কাজ শুরু করলাম।

Read More

পাঠক প্রতিক্রিয়া – দি আইস ড্রাগন

অসাধারণ সমাপ্তি গল্পটিকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
শব্দচয়ন এবং সাবলীল ভাষা ব্যবহারের ফলে একবারের জন্যও মনে হয় নি অনুবাদ পড়ছি। এক্ষেত্রে অনুবাদকের প্রশংসা করা বাঞ্ছনীয়।

Read More

দি আইস ড্রাগন (কিছুটা পড়ে দেখুন)

নিহার নন্দিনী জর্জ আর. আর. মার্টিনের “দি আইস ড্রাগন”। “সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার” ইউনিভার্সের প্রথম বই। ছোট্ট ইলাস্ট্রেটেড বইটার কিছু অংশ এখানে দিয়ে দিচ্ছি। ইলাস্ট্রেশন সহ। বইয়ে যেমন আছে ঠিক তেমন। আশা করছি, এই একটা চ্যাপ্টার পড়ার পরে বইটা পড়তে চান কিনা এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে পাঠকদের জন্য। ইলাস্ট্রেশন প্রথম অধ্যায় মেয়েটার নাম অ্যাডারা। সে শীত ভালোবাসে। ভীষণ ভালোবাসে। শীত ভালোবাসে কারণ শীত আসলে চারপাশ যখন বরফে ঢেকে যায়, কনকনে হিমেল হাওয়া বয়, নীহার বিন্দু গাছের পাতায় ঝুলতে থাকে মুক্তোর মত, শুধুমাত্র তখন আইস ড্রাগন আসে। অ্যাডারা জানে না, আইস ড্রাগন আসে বলেই শীত আসে নাকি শীত আসলেই আইস ড্রাগন আসে। এসব নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথাও নেই। শুধু সময়মত আইস ড্রাগন আসলেই সে খুশি। তবে এই সব প্রশ্ন নিয়ে যার প্রচন্ড মাথাব্যথা সে হল, অ্যাডারার ভাই গোয়েফ। গোয়েফ অ্যাডারার থেকে দুই বছরের বড়। তাবদ দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে গোয়েফের ব্যাপক কৌতুহল, হাজার হাজার প্রশ্ন। ইলাস্ট্রেশন ২ প্রচন্ড এক শীতের রাতে জন্মেছিল অ্যাডারা। এত তীব্রশীত আর কবে পড়েছিল মনে নেই কারো। এমনকি গ্রামের থুরথুরি বুড়ি লরা, যে এলাকার সবার জন্মের আগের কাহিনি জানে, সেও এমন তীব্র শীতের কোনো স্মৃতি মনে করতে পারে না। সেই তীব্র শীতের রাতের কথা এখনও পাংশু মুখে বলাবলি করে লোকজন। হিম-শীতল অভিব্যক্তি নিয়েই সব শোনে হিমকন্যা অ্যাডারা, নিজে কিছু বলে না, কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখায় না। অ্যাডারাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান অ্যাডারার মা। লোকজন সেই কাহিনীও বলাবলি করে নিজেদের মধ্যে। যদিও সরাসরি অ্যাডারাকে কেউ কিছুই বলে না, কিন্তু অ্যাডারা সবই শুনতে পায়, সবই জানে। কেউ কেউ তো এমনও বলে যে, শীত অ্যাডারার মায়ের জরায়ুতে ঢুকে গিয়েছিল, এই জন্যই অ্যাডারার রং এমন ফ্যাকাশে, শরীর এমন শীতল। আড়ালে আবডালে কেউ কেউ তাকে হিমকন্যা (উইন্টার’স চাইল্ড) ডাকে। অ্যাডারা চুপচাপ শুনে যায়। নিরুত্তাপ, নিরুদ্বেগ, প্রতিক্রিয়াহীন। বলার কিছু নেইও অবশ্য। লোকের কথা অবিশ^াস করারও উপায় নেই। সত্যিই তার গায়ের রং কেমন ফ্যাকাশে, নীলাভ একটা আভা আছে। আর আডার শরীরও সবসময় ঠান্ডা থাকে, কখনও গরম হয় না। সবাই বলে শীত তাকে চুমু দিয়ে গেছে, নিজের করে গেছে। তবে যে যাই বলুক, বাবার কাছে সে তুষার তনয়া, নীহার নন্দিনী। ইলাস্ট্রেশন ২ মোটকথা, প্রায় সবাই অ্যাডারাকে একটু অন্য চোখে দেখে, স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। আবার এটাও সত্যি যে, অ্যাডারা তার বয়সী আর দশটা মেয়ের মতও না। চুপচাপ ধরনের, কারো সাথে খেলা-ধূলা, ছুটাছুটি, এসবে তেমন আগ্রহ নেই। সবাই তাকে সুন্দর বলে, অনেকবার শুনেছে সে। কিন্তু ও জানে না, ওর ফ্যাকাশে রংটা হলদেটে সোনালী চুলের সাথে মানিয়ে গেছে ভীষণভাবে। আর সাথে স্বচ্ছ উজ্জ্বল নীল চোখ ওর পার্থিব সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সবমিলিয়ে ওর প্রতি কৌতুহল জাগবেই যে কারো, কাছে আসতে মন চাইবে, জানতে ইচ্ছে করবে, কিন্তু বড় ছোট সবাই তার থেকে একটু যেন দূরে দূরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। এই মেয়ে হাসে খুব কম। আর তাকে কখনও কাঁদতে দেখেনি কেউ। তার বয়সী মেয়েরা যেমন...

Read More

অনুবাদকের কথা- দি আইস ড্রাগন

বইয়ের শুরুতে অনুবাদকের কথায় আমি এই লেখাটার কিছু অংশ দেয়া আছে। ফুল কভার বেশ কিছুদিন আগে, আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে আমার লেখা একটা ছোটগল্প পড়তে দিলাম। গল্পটা লেখার সময় আমার মাথায় যে বিষয়টা ছিল, সেটা হল, “অদৃষ্টের অবিচার”। কিন্তু কথাগুলো সরাসরি লিখতে তো ভালো লাগে না। তাই গল্পটাকে হালকা প্রেমের মোড়কে মুড়িয়ে দিয়েছিলাম। গল্পটা পড়ার পর বন্ধুরা বলল, গল্পটা পড়ে তাদের কাছে প্রেমের গল্প মনে হয়েছে। তাদের কোনো দোষ অবশ্যই দেবনা। আমিই পাতি লেখক, সম্ভবত নিজের কথাটা বোঝাতে পারি নি। মহিউল ইসলাম মিঠু এই কাহিনিটা বলার কারণ হল, আইস ড্রাগন গল্পটা ছোট্ট একটা মেয়ের বালখিল্যতার মোড়কে মোড়ানো একটা ” বন্ধু-বিয়োগ”-এর সূ² অথচ গভীর এক বেদনার গল্প। যে সব লেখক এরকম সহজ একটা গল্পের ছলে হৃদয়ের গভীরের অজানা বা মরচে পড়া অনুভূতিগুলো নাড়িয়ে দেন, প্রায় সময়ই দেখেছি, এই জাতের লেখকরা খুব দ্রæত আমার হৃদয়ের গভীরে জায়গা করে নেন। জর্জ আর. আর. মার্টিন যে তেমনই একজন এব্যাপারে সম্ভবত অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন। কিন্তু সববয়সের পাঠকের পাঠোপোযোগী একাধিক লেয়ারের এই গল্পকে আমি বাংলায় কতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি সেটা বিচার করবেন পাঠক। যদি কিছু কমতি থাকে তাহলে জানাবেন, ভবিষ্যতে আবার যতটা পারি সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। কারন, আমি নিজের কাছে প্রমিজ করেছি, এখন থেকে শুধু সেই বইগুলো নিয়েই কাজ করব, যেগুলো নিয়ে বারবার কাজ করতেও আমার কোনো বিরক্তি আসবে না। প্রচ্ছদ এবার বইয়ের কথায় আসা যাক। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে। ‘গেম অব থ্রোন্স’ প্রকাশের দেড় দশকেরও বেশি সময় আগে।কিন্তু আর আর মার্টিনের আইস অ্যান্ড ফায়ার ইউনিভার্সের জন্ম এই বই দিয়েই। সাহস, ত্যাগ, আর বন্ধুত্বের এই ছোট্ট শিশুতোষ বইটি মনে যে দাগ কেটে যায় সেটা বহুদিন রয়ে যাবে। মানবমনের চিরন্তন বৈপরীত্যের যে সহজ কিন্তু শক্তিশালী প্রকাশ মার্টিনের লেখায় পাওয়া যায়, এই ছোট্ট বইটাতেও তা পাওয়া যাবে। বইটা পড়ারা সময় শান্তিময় এক শান্ত অনুভূতি আমাকে ঘিরে ছিল। পড়ার পরই আমি জানতাম, আমি বইটা অনুবাদ করতে চাই। অনুবাদ করতে গিয়ে আনন্দটা পেয়েছি আরো বেশি। কারন আমার মনে হয় অনুবাদ করার জন্য যখন ভাবতে হয় তখন সাহিত্যের বাহ্যিক পর্দাটার ভেতরের ব্যাপারগুলো সামনে আসার ফুসরত পায়। পড়ার সময় বইটা শুধু ভালো লেগেছিল। অনুবাদ করার পর এটার ফ্যান হয়ে গেছি। বইটাতে যে আনন্দ আছে বাংলা অনুবাদে সেটার শতভাগ পাঠকের কাছে পৌছে দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই জানি। তবুও কিছুটা হয়তো পেরেছি। তাতেই আমি খুশি। আমার পাঠকরাও সেটুকুতে অসন্তুষ্ট হবেন না, সেটাও জানি। তবে শেষে বলতে চাই, বইটা নিয়ে আমি গর্বিত। আমার কাছে একটা ভালো কাজ, সারাজীবনের সম্পদ। তাই গর্ব হলে দোষ দেয়া যায় না, তাই না? যতবার আমি বইটার দিকে তাকাবো ভালো লাগবে। জীবনের অর্থ নতুন মাত্রা পাবে। তবে ভালো একটা কাজ যে মানসিক শান্তিটা দেয়, তার সাথে আর কিছুরই তুলনা চলে না। এ তো গেল আমার কথা। পাঠকদের অনেকেরই হয়তো ভালো লাগবে না আমার অনুবাদ। তাদের বলব, অনুবাদ ভালো না লাগলে, অরিজিনালটাই পড়ুন। বইটা...

Read More

দি আইস ড্রাগন (বই পরিচিতি)

গেম অব থ্রোন্স প্রকাশের দেঢ় দশকেরও বেশি সময় আগে। জর্জ আর আর মার্টিন-র আইস অ্যান্ড ফায়ার ইউনিভার্সের জন্ম এই বই দিয়েই। ড্রাগনের সাথে একটা ছোট্ট মেয়ের বন্ধুত্বের গল্প। হৃদয়ের গভীরের মরচে পড়া কিছু অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেয়ার গল্প।

Read More

অনলাইনে বইয়ের-দোকানে

১৯৯০’র দশকে জন্ম নেয়া বইপড়ুয়ারা জানে, বই না পাওয়ার কষ্ট কাকে বলে। বিশেষ করে আমরা যারা ছোট শহর আর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বেড়ে উঠেছি তাদের জন্য এলাকার বেইয়ের দোকানে পছন্দের বই পাওয়াটা এক কথায় ছিল অসম্ভব। বছরে ছয়মাসে একবার বড় বড় শহরগুলোতে আসতাম বই কিনে নিয়ে যেতাম। দেখা যেত, যেগুলো কিনতে চেয়েছিলাম সেগুলোর বেশিরভাগই কেনা যায়নি, কারন দোকানেই সেই বই থাকত না বেশিরভাগ সময়। আমাদের অবস্থা ছিল যাই পাই তাই খাই টাইপ। আমাদের কাজ ছিল, এলাকার পাবলিক লাইব্রেরি আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ঘুরে পুরাতন বই পড়া আর পত্রিকায় নতুন প্রকাশিত বইয়ের বিজ্ঞাপন দেখা। নতুন বই দেখার জন্য মন আকুপাকু করত কিন্তু বই পেতাম না। বন্ধুদের একজন বই কিনলে, সেই বই নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত। কে আগে পড়বে। আর যে আগে পড়ে কাহিনি বলে দেবে, তার কপালে শনি। এখন অবস্থা আর তেমন নেই। দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, পছন্দের বই অর্ডার করলে বই পৌছে যাবে দরজায়। বইয়ের জন্য সেই অদ্ভূত মধুর হাহাকার করার সুযোগটা বন্ধ হয়ে গেছে।পছন্দ বা আগ্রহের বইটা পড়ার ইচ্ছাটা মাটি হচ্ছে না ভুলেও। এই পোস্টে দেশের প্রথমসারির কিছু অনলাইন বুকস্টোরে আমার প্রোফাইল লিংকগুলো শেয়ার করতে চাচ্ছি। রকমারি অনলাইন বুকস্টোরের আলাপ আসলে সম্ভবত সবার আগে আসবে “রকমারি”র নাম। বিভিন্ন অফার, দ্রুত ডেলিভারি, আর বইয়ের বিরাট কালেকশন নিয়ে বাংলাদেশের পাঠকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। রকমারিতে আমার বইগুলো দেখতে ও অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে। রকমারি প্রোফাইল মাঝে মাঝেই আমি একটা সমস্যা ফেইস করছি। সেটা হল, অনলাইন ‍বুকস্টোরে আমার প্রোফাইলে এমন কিছু বই পাচ্ছি যেগুলোর সাথে আমার কোনে সম্পৃক্ততা নেই। এব্যাপারে রকমারি এবং সংশ্লিষ্ট প্রকাশকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রথমে একবার এধরনের বইগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার কেন যোগ করা হয়েছে জানিনা। এব্যাপারে বারবার বলেও তাদের আটকানো যাচ্ছে না। তাই এজন্যই অনেকটা বাধ্য হয়েই এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটা তৈরি করেছি। যাতে আমার পাঠকরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারে যে ঠিক কোনগুলো আমার বই আর কোনগুলো নয়। আজকে পর্যন্ত (১১ নভেম্বর ২০১৯) আমার রকমারির প্রোফাইলে দুটো বই দেখা যাচ্চে যেগুলো আমার নয়। বইগুলো হল: বারাক ওবামার লেখা ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার এবং এপিজে আবদুল কালাম লার্নিং হাউ টু ফ্লাই (হার্ডকভার)। বইবাজার আরেকটি অনলাইন বুকশপ যেটি বাংলাদেশের পাঠকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে সেটা হল, বইবাজার ডট কম।ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট, এবং ক্রেতাসেবার জন্য বইবাজার বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তাদের সার্ভিস আরো ভালো হবে। বইবাজার প্রোফাইল বইবাজারে আমার বইগুলো দেখতে ও অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে। আমার বই নয় তবুও আমার প্রোফাইলে দেখানো হচ্ছে, বইবাজার প্রোফাইলেও এমন বই আছে। চারটা। ১. দ্য স্ট্রাগল ইজ মাই লাইফ – নেলসন ম্যান্ডেলা। ২. রহস্যময় ঘড়ি। ৩.লার্নিং হাউ টু ফ্লাই। ৪. দি স্কুল ফর রবিনসন। ইত্যাদি শপ অনলাইন বুকস্টোরগুলোর মধ্যে ইত্যাদি শপে ডেলিভারি চার্জ সবচেয়ে কম। মাত্র ৩০টাকা। আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের সার্ভিস কখনও ব্যবহার করিনি। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। ইত্যাদি শপ প্রোফাইল ইত্যাদি শপে আমার বইগুলো...

Read More

পার্সি জ্যাকসন: দ্য লাইটনিং থিফ (পাঠক প্রতিক্রিয়া)

রিভিউ লিখেছেন সালেহ আহমেদ মুবিন, তরুন লেখক, অনুবাদক, সম্পাদক। বিশ্বখ্যাত সিরিজ “দি গেম অব থ্রোন্স”-এর অনুবাদ করে মন জয় করে নিয়েছেন শত পাঠকের মন। সুন্দর রিভিউটির জন্য তাকে ধন্যবাদ। প্রচ্ছদ: ইবুক পার্সি জ্যাকসন এ্যান্ড দ্যা লাইটনিং থিফ রিক রিওর্ডান অনুবাদঃ মহিউল ইসলাম মিঠু . ধরুন আপনি আপনার অত্যাচারী সৎ বাবা এবং ভয়াবহ স্কুল থেকে বহু দূরে সমুদ্রের তীরে শান্তির এক দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন। সাথে রয়েছে আপনার মমতাময়ী মা। হঠাৎ সেখানে প্রবল ঝড় বৃষ্টির মাঝেই, একদম মধ্যরাতে হুট করে উপস্থিত হল আপনার স্কুলের বেস্ট ফ্রেন্ড। অবাক হবেন না? এর উপর যদি দেখা যায় আপনার বন্ধুর পা হাঁটুর নিচ থেকে পরিণত হয়েছে ছাগলের খুরে, তাহলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র নয়। ধরলাম এসব বাধা বিপত্তি পাড়ি দিয়েই দিলেন। এরপর যদি আপনাকে গাড়ি নিয়ে সেই মধ্যরাতেই তাড়া খেতে হয় পৌরাণিক দানব মিনোটরের, তাহলে কি আদৌ সুস্থ্য থাকা সম্ভব? মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে আপনার মা সেই মিনোটরের হাতে থেকেই যদি একরাশ আলোক রেখায় মিলিয়ে যায়? তাহলে আপনার অবস্থাটা কি হবে? বুঝতে পারছি হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। ওয়েট। আসল বিষয়টা এখনও বলিইনি। আপনার বয়সটা তখন থাকবে বার বছর। স্রেফ বার বছর! এবার চিন্তা করে দেখুন। এই ব্যাপারটাই ঘটল বার বছর বয়সী পার্সি জ্যাকসনের সাথে। হঠাৎ করেই একরাতের মাঝে সে নিজেকে আবিষ্কার করে বসল ভিন্ন আর ভয়াবহ এক জগতে। আবিষ্কার করল সেই জগতের বাসিন্দা সে নিজেও। কোনমতে প্রাণ নিয়ে সে পৌছল ক্যাম্প হাফ ব্লাডে। সেখানেই সে প্রথমবারের মত আবিষ্কার করল যে সে একজন ডেমিগড। তার বাবা স্বয়ং গ্রিক সমুদ্রদেব পোসাইডন! আর আধুনিক অলিম্পাস নাকি এই অ্যামেরিকার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এরই ছয়শ তলায়! তবে সব খারাপেরই ভাল দিক থাকে। ক্যাম্প হাফ ব্লাডেই সে পেল ভয়ংকর কিন্তু মায়াবতী বান্ধবী অ্যানাবেথকে, খুঁজে পেল বন্ধু গ্রোভারের পা ছাগ খুরযুক্ত হবার কারন, সেই সাথে পেল বৃদ্ধ শিক্ষক কাইরনকে, যে কিনা হারকিউলিস একিলিসদের মত বিখ্যাত ডেমিগডদেরকে নিজ হাতে শিক্ষা দিয়েছে। আর পেল এক বন্ধু, বড় ভাই লুককে। কিন্তু সব তালগোল পাকিয়ে গেল খুব শিঘ্রই। স্বয়ং দেবরাজ জিউসের অস্ত্র-বজ্র কিভাবে যেন নিখোঁজ হয়ে গেছে। সব দোষ চাপল পার্সির উপরে। তার পেছনে কারন আছে বৈকি। হাতে একটা উপায়ই বাকি আছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য খুঁজে বের করতে হবে আসল চোরকে। লাইটনিং থিফকে। আর এজন্য পাড়ি দিতে হবে বহু বিপদসংকুল পথ। যেতে হবে অতল পাতালের বহু গভীরে। উল্টেপাল্টে হবে পুরো জগৎটাকে। সময়য় কেবল দশদিন। সাথী হল বন্ধু গ্রোভার আর অ্যানাবেথ। টাইটান লর্ড ক্রনসের এখানে কি সম্পর্ক? শেষে গিয়ে সব রহস্য যখন সমাধানের পথে, আচমকাই পাঠকের চোয়াল ঝুলে পড়বে। জমে উঠবে খেলা। শুরু হবে বন্ধুত্ব, বুদ্ধি, বিপদ আর বিশ্বাঘাতকতার এক উপাখ্যান। প্রচ্ছদ: হার্ডকভার পাঁচ বই সিরিজের প্রথম বই হচ্ছে লাইটনিং থিফ। অনলাইন শপ বিবিধের পোষ্ট দেখে হঠাৎই মনে হল বইটা সম্পর্কে সবাইকে জানানো দরকার। গোগ্রাসে গেলা যাকে বলে ঠিক সে ব্যাপারটাই ঘটেছে এই সিরিজের বেলায়। লেখকের রসাত্মক বর্ণনায় মুখ টিপে হেসেছি। পার্সির স্টুপিডিটি,...

Read More

শচীনের ছেলেবেলা

শচীন টেন্ডুলকারের অটোবায়োগ্রাফী “প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে” প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে। বাংলায় অনুবদের কাজটা করেছিলাম আমি। এই লেখাটি সেই বইয়ের প্রথম অধ্যায়। শচীনের শৈশব প্রচ্ছদ “বাবা, জীবনটা একটা বইয়ের মত। অনেকগুলো অধ্যায় আছে এতে। বইয়ের মতই শিক্ষাও আছে অনেক। অনেক ধরনের অভিজ্ঞতায় ভরা আমাদের জীবন। পেন্ডুলাম একবার সফলতার দিকে দুলবে, আরেকবার দুলবে ব্যর্থতার দিকে। সাফল্য, ব্যর্থতা, দু’টোরই আলাদা আলাদা শিক্ষা আছে। দু’টো থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। তবে বেশীরভাগ সময়ই সফলতার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষার চেয়ে, ব্যর্থতার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাই বেশি মূল্যবান। তুমি একজন ক্রিকেটার বা ক্রিড়াবিদ। তুমি তোমার দেশকে প্রতিনিয়ত বিশ্বের সামনে তুলে ধরছ। বলাবাহুল্য এ এক বিরাট সম্মান। কিন্তু কখনও ভুলে যেওনা এটাও জীবনের একটা অধ্যায় মাত্র। একটা মানুষ কতদিন বাঁচবে? বড় জোড় সত্তুর বা আশি বছর। এর মধ্যে তুমি খেলবে কত বছর? বিশ, খুব ভালো খেলতে পারলে হয়তো বা পঁচিশ, তার বেশি নয়। তারমানে কি? তোমার জীবনের বেশির ভাগটাই কাটবে ক্রিকেটের বাইরে। সোজা কথা হল, জীবনটা ক্রিকেটের চেয়েও অনেক বড়। শোন বাবা, আমি চাই তুমি ভারসাম্য রাখতে শেখো। তোমার সাফল্য যেন তোমাকে দাম্ভিক করে না তোলে। যদি বিনীত, নম্র থাকো তাহলে তোমার ক্রিকেটারের ছোট্ট জীবনটা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মানুষ তোমাকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে। একজন বাবা হিসেবে, “শচীন একজন ভালো খেলোয়াড়” এর চেয়ে “শচীন একজন ভালো মানুষ”Ñএটা শুনতেই বেশি ভালো লাগবে আমার।”কথাগুলো আমার বাবার। বেড়ে ওঠার সময় অগণিতবার এই কথাগুলো শুনেছি আমি। আমার জীবনদর্শন এই কথাগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে।আমার জন্ম মুম্বাইয়ের পূর্ব বান্দ্রায় এক রক্ষণশীল মহারাষ্ট্রীয় পরিবারে। থাকতাম সাহিত্যিরা সাহাওয়াস কলোনীতে। আমাদের কলোনীটা লেখকদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে জুৎসই একটা জায়গা কিন্তু আমি হয়ে গেলাম ক্রিকেটার। চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আমি। আমার বড় দু’ভাই আর এক বোন। ভাইদের নাম অজিত আর নিতিন আর বোনের নাম সাবিতা। আমি যে শুধুমাত্র বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্যই ছিলাম না, বাড়ির সবচেয়ে দুষ্টু সদস্য বলতেও আমাকেই বোঝানো হত।আমার বাবা রমেশ টেন্ডুলকার, সুপরিচিত মারাঠি কবি, সাহিত্য সমালোচক, অধ্যাপক। আর মা, রজনী টেন্ডুলকার। মা চাকরী করতেন ‘লাইফ ইনস্যুরেন্স কোর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’তে। আজকের এই আমি হওয়ার জন্য এই দু’জন মানুষের কাছে ভীষণভাবে ঋণী আমি। আমার জন্য জীবনে অসংখ্যবার অনেক অনাকাক্সিক্ষত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছেন তারা। কিন্তু কোনবারই আমার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায়নি তাদের, বারবার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাকে। সত্যি কথা বলতে, মাঝে মাঝে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই এই ভেবে যে, আমার মত এতটা দুষ্টু ছেলের সাথে মা-বাবা পেড়ে উঠতেন কিভাবে। আমি জানি, অসংখ্যবার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছি আমি কিন্তু তারা আমার এসব দুষ্টুমী বা বেয়াদবীর সাথে ঠিকই মানিয়ে নিতেন। কিভাবে পারতেন জানি না, আমি তাদের জায়গায় থাকলে অবশ্যই পারতাম না। আমার বাবা কখনও রেগে কথা বলতেন না আমার সাথে। তিনি বোঝাতেন যে, কেন আমার ঐ কাজটা করা উচিত নয়। তার এই বোঝানোর ব্যাপারটা সবসময়ই অনেক বেশি কাজে লাগত। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় বাবাকে হারানো আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর...

Read More