বই রিভিউ: বঙ্গবন্ধু- নেতা, নেতৃত্ব ও আজকের বাংলাদেশ
যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে চান, এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ যে সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে সেগুলো সম্পর্কে খুব ভ্যালিড তথ্য চান, তাদের জন্য এই বইটা একটা অসাধারণ চয়েজ হতে পারে।
সাথে প্রতিটি তথ্যের যথাযত রেফারেন্স এবং বইয়ের শেষে একটা ইনডেক্স বইটিকে রেফারেন্স বুক হিসেবেও উপযোগী করে তুলেছে।
পাঠক প্রতিক্রিয়া – রিংস ১ (নবনীতা)
“লর্ড অফ দ্য রিংস” সিরিজের প্রথম বই, “দি ফেলোশিপ অফ দ্য রিং” পড়ার পর এখন ইচ্ছে করছে; ঘুরে আসি মিডল আর্থ থেকে। শায়ারের হবিটনে ছোট্ট একটা গর্ত তৈরি করে হাসিখুশি হবিটদের সাথে কাটিয়ে দিই বাকিটা জীবন।
দি লর্ড অফ দ্য রিংস ১ (বই পরিচিতি)
‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’ সহিত্যের ইতিহাসে একটা ল্যান্ডমার্ক । গল্পের ডিটেইলিং-এ টোলকিনের মত মনযোগ খুব কম লেখকই দিতে পেরেছেন। আর ইংরেজি সাহিত্যে স্টোরিটেলিং-এর ধরনটাই পাল্টে দিয়েছিল তার ‘দি হবিট’ আর ‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’। পুরো লেখক জীবনে টোলকিন এই একটা ইউনিভার্সই তৈরি করেছেন।
লিজিয়ন – প্রথম অধ্যায়
কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হল বিখ্যাত আমেরিকান লেখক ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসনের ‘লিজিয়ন’। বইয়ের প্রথম অধ্যায়টা এখানে দিয়ে দিচ্ছি। যাতে পাঠক কাহিনীর সাথে একটু পরিচিত হতে পারেন, সাথে অনুবাদের মান নিয়েও মনে শঙ্কা না থাকে
দি হবিট (প্রথম অধ্যায়)
এক গর্তে বাস করত এক হবিট। গর্ত শুনলে যেমন স্যাঁতস্যাঁতে, নোংরা একটা জিনিসের কথা মনে পড়ে। এই গর্ত মোটেও সেরকম নয়। গর্তটা একটা হবিটের। হবিটের গর্ত মানে সুন্দর সাজানো, গোছানো, পরিপাটি একটা গর্ত। হবিটের বাড়ি। এক কথায় যাকে সুখের স্বর্গ বলে।
ড্রাকুলা (গ্রাফিক নোভেল)
ব্রাম স্টোকারের বিখ্যাত হরর উপন্যাস ড্রাকুলা। বইটির আবেদন বেড়েই চলেছে।এই বইটি অরিজিনাল উপন্যাসটির গ্রাফিক নোভেল সংস্করণ।
লিজিয়ন-বই পরিচিতি
স্টিফেনের কাছে একটা সাদা খাম এসেছে। নাম-ঠিকানা কিচ্ছু নেই খামে। ভেতরে শুধু একটা ফটোগ্রাফ। কিন্তু ফটোগ্রাফটা যেই সময়ের সেই সময় ক্যামেরা নামক যন্ত্রটার অস্তিত্বই ছিল না। আবিষ্কৃতই হয়নি।
গেম অব থ্রোনস (গ্রাফিক নোভেল)
জর্জ আর আর মার্টিন-র বিশ্বব্যাপী সাড়াজাগানো গেম অফ থ্রোনস অবলম্বনে গ্রাফিক নোভেল।
গেম অব থ্রোনসের গ্রাফিক নোভেল পড়তে গিয়ে মনে হল একই রকম কিছু করাই যায়! যা ভাবা তাই কাজ। যদিও কাজ তেমন পারি না, তবুও কাজ শুরু করলাম।
পাঠক প্রতিক্রিয়া – দি আইস ড্রাগন
অসাধারণ সমাপ্তি গল্পটিকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
শব্দচয়ন এবং সাবলীল ভাষা ব্যবহারের ফলে একবারের জন্যও মনে হয় নি অনুবাদ পড়ছি। এক্ষেত্রে অনুবাদকের প্রশংসা করা বাঞ্ছনীয়।
দি আইস ড্রাগন (কিছুটা পড়ে দেখুন)
নিহার নন্দিনী জর্জ আর. আর. মার্টিনের “দি আইস ড্রাগন”। “সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার” ইউনিভার্সের প্রথম বই। ছোট্ট ইলাস্ট্রেটেড বইটার কিছু অংশ এখানে দিয়ে দিচ্ছি। ইলাস্ট্রেশন সহ। বইয়ে যেমন আছে ঠিক তেমন। আশা করছি, এই একটা চ্যাপ্টার পড়ার পরে বইটা পড়তে চান কিনা এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে পাঠকদের জন্য। ইলাস্ট্রেশন প্রথম অধ্যায় মেয়েটার নাম অ্যাডারা। সে শীত ভালোবাসে। ভীষণ ভালোবাসে। শীত ভালোবাসে কারণ শীত আসলে চারপাশ যখন বরফে ঢেকে যায়, কনকনে হিমেল হাওয়া বয়, নীহার বিন্দু গাছের পাতায় ঝুলতে থাকে মুক্তোর মত, শুধুমাত্র তখন আইস ড্রাগন আসে। অ্যাডারা জানে না, আইস ড্রাগন আসে বলেই শীত আসে নাকি শীত আসলেই আইস ড্রাগন আসে। এসব নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথাও নেই। শুধু সময়মত আইস ড্রাগন আসলেই সে খুশি। তবে এই সব প্রশ্ন নিয়ে যার প্রচন্ড মাথাব্যথা সে হল, অ্যাডারার ভাই গোয়েফ। গোয়েফ অ্যাডারার থেকে দুই বছরের বড়। তাবদ দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে গোয়েফের ব্যাপক কৌতুহল, হাজার হাজার প্রশ্ন। ইলাস্ট্রেশন ২ প্রচন্ড এক শীতের রাতে জন্মেছিল অ্যাডারা। এত তীব্রশীত আর কবে পড়েছিল মনে নেই কারো। এমনকি গ্রামের থুরথুরি বুড়ি লরা, যে এলাকার সবার জন্মের আগের কাহিনি জানে, সেও এমন তীব্র শীতের কোনো স্মৃতি মনে করতে পারে না। সেই তীব্র শীতের রাতের কথা এখনও পাংশু মুখে বলাবলি করে লোকজন। হিম-শীতল অভিব্যক্তি নিয়েই সব শোনে হিমকন্যা অ্যাডারা, নিজে কিছু বলে না, কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখায় না। অ্যাডারাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান অ্যাডারার মা। লোকজন সেই কাহিনীও বলাবলি করে নিজেদের মধ্যে। যদিও সরাসরি অ্যাডারাকে কেউ কিছুই বলে না, কিন্তু অ্যাডারা সবই শুনতে পায়, সবই জানে। কেউ কেউ তো এমনও বলে যে, শীত অ্যাডারার মায়ের জরায়ুতে ঢুকে গিয়েছিল, এই জন্যই অ্যাডারার রং এমন ফ্যাকাশে, শরীর এমন শীতল। আড়ালে আবডালে কেউ কেউ তাকে হিমকন্যা (উইন্টার’স চাইল্ড) ডাকে। অ্যাডারা চুপচাপ শুনে যায়। নিরুত্তাপ, নিরুদ্বেগ, প্রতিক্রিয়াহীন। বলার কিছু নেইও অবশ্য। লোকের কথা অবিশ^াস করারও উপায় নেই। সত্যিই তার গায়ের রং কেমন ফ্যাকাশে, নীলাভ একটা আভা আছে। আর আডার শরীরও সবসময় ঠান্ডা থাকে, কখনও গরম হয় না। সবাই বলে শীত তাকে চুমু দিয়ে গেছে, নিজের করে গেছে। তবে যে যাই বলুক, বাবার কাছে সে তুষার তনয়া, নীহার নন্দিনী। ইলাস্ট্রেশন ২ মোটকথা, প্রায় সবাই অ্যাডারাকে একটু অন্য চোখে দেখে, স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। আবার এটাও সত্যি যে, অ্যাডারা তার বয়সী আর দশটা মেয়ের মতও না। চুপচাপ ধরনের, কারো সাথে খেলা-ধূলা, ছুটাছুটি, এসবে তেমন আগ্রহ নেই। সবাই তাকে সুন্দর বলে, অনেকবার শুনেছে সে। কিন্তু ও জানে না, ওর ফ্যাকাশে রংটা হলদেটে সোনালী চুলের সাথে মানিয়ে গেছে ভীষণভাবে। আর সাথে স্বচ্ছ উজ্জ্বল নীল চোখ ওর পার্থিব সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সবমিলিয়ে ওর প্রতি কৌতুহল জাগবেই যে কারো, কাছে আসতে মন চাইবে, জানতে ইচ্ছে করবে, কিন্তু বড় ছোট সবাই তার থেকে একটু যেন দূরে দূরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। এই মেয়ে হাসে খুব কম। আর তাকে কখনও কাঁদতে দেখেনি কেউ। তার বয়সী মেয়েরা যেমন...