চেতনা জাগাই, করোনা থামাই

সোশাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখার সময়টাকে সহনীয় করে তুলতে পারে বইপড়া। আর বই পড়েই যদি সোশাল ডিস্ট্যান্সিং এর পাশাপাশি সামাজিক সহযোগিতায়ও কার্যকরভাবে অংশ নেয়া যায়, তবে মন্দ কি? বইটই আর সেইবই এর মাধ্যমে আপনারা এ সুযোগটাই পাবেন। পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে এই দুটি ইবুক প্ল্যাটফর্মে আমার বিক্রিত বই থেকে (লেখকের অংশের) সব অর্থ যাবে করোনায় ভুক্তভোগী ডিসএনভান্টেজড মানুষের সহযোগিতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন” বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফান্ড রেইজ করছে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য। “শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন” আমার ডিপার্টমেন্ট। আমার বই বিক্রির টাকাগুলো এই ফান্ডে দেয়া হবে। এর আগে অনেকবার বিভিন্ন দূর্যগের সময় এই গ্রুপ খুব সফলতার সাথে অনেকগুলো ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাদের কাছে আমাদের টাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে। এখান থেকে হয়তো খুব বেশি টাকা আসবে না। কিন্তু আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের জিনিস এই বইগুলো। তাই এখান থেকে পাওয়া টাকাটুকু নিয়েই মানুষের পাশে দাড়াতে চাই। এতটুকু আত্মতুষ্টি অন্তত পেতে চাই যে, আমিও আমার জায়গা থেকে করেছি যতটুকু পেরেছি। সেইবই থেকে বই কিনলে ডোনেশন হিসেবে যাবে বইয়ের দামের ৭০% এবং বইটই থেকে কিনলে যাবে দামের ৫০%। (এটাই রেভিনিউ ডিসট্রিবিউশান) প্রথমে এমনই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে “বইটই” আমার এই উদ্যোগে একাত্মতা জানিয়েছে। তাদের অংশের ৫০% রেভিনিউ তারা আমার এই ক্যাম্পেইনের জন্য ছেড়ে দিচ্ছে। অর্থাৎ বইটই ব্যবহারকারীরা বইটি কিনলে পুরো টাকাটাই যাবে ডোনেশন হিসেবে। এব্যাপারে একটা পোস্ট আছে, সেটার লিংক নিচে দিয়ে দেব। আমরা যদি প্রত্যেকে সচেতন থাকি, নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু পারি যেভাবে পারি মানুষের পাশে দাড়াই তাহলে করোনা মহামারি পরাস্ত হবেই। ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য এটাই হবে আমাদের উপহার। আমার বন্ধু আব্দুল্লাহ আর রায়হান, প্রথম দু্টো প্যারা লিখে দিয়ে এই লেখাটা শুরু করিয়ে দিয়েছে। তার মতে, ‘চেতনা জাগাই, করোনা থামাই’ কথাটাতে ‘চেতনা’ শব্দটা পুরোপুরি সুইটেবল না। বেশি বলা হয়ে যাচ্ছে। সে আমাকে ‘সচেতনতা’বা এই জাতীয় কোনো শব্দ ব্যবহার করতে বলছিল। আমিও ওর সাথে একমত। কিন্তু তারপরেও চেতনা শব্দটা রাখতে চাই। কারন সচেতনতা দিয়ে আমরা এই করোনাকে বিদায় করতে পারব। কিন্ত আর যেন কোনো করোনা এসে আমাদের এমন অসহায় করতে না পারে এজন্য আমাদের চেতনাকে জাগাতে হবে। পৃথিবীর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যদি এই বিপর্যয়ে আমাদের চেতনা জাগে তাহলেই কেবল করোনা পরবর্তী পৃথিবী হবে নিরাপদ। নইলে…. সময়ের ব্যাপার মাত্র…. পাঠকের সুবিধা হলে পারে, তাই বইটই ও সেইবইতে আমার যে বইগুলো কেনা যাবে সেগুলোর লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি। বইগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন। সেইবইতে পাওয়া যাবে ১. দি হবিট – জে. আর. আর. টোলকিন (লর্ড অফ দ্য রিংস-এর প্রিক্যুয়েল) বইয়ের ব্যাপারে সবকিছু পাবেন: http://mithu.info/the-hobbit-new-cover/ সেইবইতে বইয়ের লিংক: https://sheiboi.com/Book/BookDetails?bookId=3159 ২. দি আইস ড্রাগন – জর্জ আর. আর. মার্টিন বইয়ের ব্যাপারে সবকিছু পাবেন: http://mithu.info/the-ice-dragon-intro/ সেইবইতে বইয়ের লিংক: https://sheiboi.com/Book/BookDetails?bookId=3098 ৩. আ গেম অব থ্রোনস (গ্রাফিক নোভেল ১)- জর্জ আর. মার্টিন বইয়ের ব্যাপারে সবকিছু পাবেন: http://mithu.info/gameofthrones-grahic-novel/ সেইবইতে বইয়ের লিংক: https://sheiboi.com/Book/BookDetails?bookId=3134 ৪. প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে (শচীন টেন্ডুলকারের আত্মজীবনী) বইয়ের...

Read More

১০০তম জন্মদিনে ১০০% ছাড়

প্রতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমি তার ভাস্কর্য, দেয়ালচিত্র, ছবি ইত্যাদির সাথে ছবি আপলোড দেই।কিন্তু এবার তার ১০০তম জন্মদিন। বিরাট ব্যাপার, প্রতিবারের মত সাদামাটা কিছু ইচ্ছা করছিল না। স্পেশাল কিছু করতে ইচ্ছা করছিল। সেই স্পেশাল কিছু করতে যাওয়ার ইচ্ছা থেকে এই অফারের অবতারনা। পরেরবার থেকে আবার সাদামাটাই হবে!আমাদের সবার প্রিয় এই মানুষটির জন্মদিনে পাঠকরা জন্য আমার বইগুলো কিনতে পারবেন ১০০% ডিসকাউন্টে। বইটই অ্যাপে। অফার চলবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে বাংলাদেশের জন্মদিন পর্যন্ত! বিরাট মুজিবের বিরাট দিনে ক্ষুদ্র মিঠুর ক্ষুদ্র নিবেদন।প্রোমোকোড: MUJIB100MITHUবইটই-কে ধন্যবাদ। প্রিয় মানুষের শততম জন্মদিন স্মরণীয় হয়ে থাক!প্রিয় বাংলাদেশ আরেকটু আলোকিত হয়ে উঠুক! বিঃদ্রঃ প্রোমোকোডটি শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে। তাই যে কয়টি বই কিনতে চান তার সবগুলো একসাথে কার্টে যোগ করে প্রোমোকোড MUJIB100MITHU ইনপুট দিয়ে চেক-আউট করলেই হবে। (এই লিমিটেশনটা জানানোর জন্য রায়হানকে ধন্যবাদ।)আর একজন ইউজার সর্বোচ্চ ২০০টাকার বই কিনতে পারবেন। কার কতটা কাজে লাগবে সেটা জানিনা। কিন্তু এই অফার আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রিয় মানুষের ১০০ তম জন্মদিন সেলিব্রেট করার জন্য এরকম কিছু করা দরকার ছিল। আমি...

Read More

ড্রাকুলা (গ্রাফিক নোভেল)

ব্রাম স্টোকারের বিখ্যাত হরর উপন্যাস ড্রাকুলা। বইটির আবেদন বেড়েই চলেছে।এই বইটি অরিজিনাল উপন্যাসটির গ্রাফিক নোভেল সংস্করণ।

Read More

সেইবই ও বইটইতে ফিচারড

সেইবই বাংলাদেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় ইবুক প্ল্যাটফর্ম।আজ সেইবই-তে যোগ হল, আমার অনুবাদেশচীন টেন্ডুলকারের আত্মজীবনী “প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে”এবং হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের ক্লাসিক অ্যাডভেঞ্চারর “দি আইভোরি চাইল্ড”! দি আইভোরি চাইল্ড আমার অনুবাদ করা প্রথম বইগুলোর একটি। ২০১২’র দিকে। সেই তখন থেকেই বইটি পাঠকের ভালোবাসা পেয়ে আসছে। রিভিউও এই বইটি নিয়েই সবচেয়ে বেশি পেয়েছি। আর প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে নিয়ে কাজ করেছিলাম ২০১৫ সালে। বইটির হার্ডকভার সংস্করণে অনেকগুলো রঙিন ছবি থাকলেও ইবুক সংস্করনে ছবিগুলো রাখা সম্ভব হয়নি। বইগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত সব পাবেন এই লিংকগুলোতে: দি আইভোরি চাইল্ড ও প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে ( http://mithu.info/the-ivory-child/ ) ( http://mithu.info/playing-it-my-way/ ) প্রকাশনা উপলক্ষ্যে ” প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে” বইটিকে ফিচার করেছে সেইবই।সেইবইকে ধন্যবাদ। ” প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে” বইটিকে ফিচার করেছে সেইবই “প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে”র দাম মাত্র ৪০ টাকা।“দি আইভোরি চাইল্ড” ২০ টাকা।সেইবই-এর প্রোমোশনাল অফারের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ফ্রীতেও পেতে পারেন! আরেকটি ভালো খবর হল, বইটই (আমার প্রিয় ইবুক অ্যাপ্লিকেশন এবং ইবুক পাব্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম) আজ ফিচার করেছে “আ গেম অব থ্রোনস” এর প্রথম ইস্যুকে। বইটইকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটই ফিচার করেছে “আ গেম অব থ্রোনস” এর প্রথম...

Read More

লিজিয়ন-বই পরিচিতি

স্টিফেনের কাছে একটা সাদা খাম এসেছে। নাম-ঠিকানা কিচ্ছু নেই খামে। ভেতরে শুধু একটা ফটোগ্রাফ। কিন্তু ফটোগ্রাফটা যেই সময়ের সেই সময় ক্যামেরা নামক যন্ত্রটার অস্তিত্বই ছিল না। আবিষ্কৃতই হয়নি।

Read More

গেম অব থ্রোনস (গ্রাফিক নোভেল)

জর্জ আর আর মার্টিন-র বিশ্বব্যাপী সাড়াজাগানো গেম অফ থ্রোনস অবলম্বনে গ্রাফিক নোভেল।
গেম অব থ্রোনসের গ্রাফিক নোভেল পড়তে গিয়ে মনে হল একই রকম কিছু করাই যায়! যা ভাবা তাই কাজ। যদিও কাজ তেমন পারি না, তবুও কাজ শুরু করলাম।

Read More

বই ভাবনা: সিন্ধু সভ্যতার স্বরূপ ও সমস্যা

বইঃ সিন্ধু সভ্যতার স্বরূপ ও সমস্যালেখকঃ অতুল সুরপ্রকাশকঃ উজ্জ্বল সাহিত্য নন্দির, কলকাতাপ্রকাশকালঃ ১৩৫৭ বঙ্গাব্দ, ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ। লেখক পরিচিতিঃ সিন্ধু সভ্যতার সাথে রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় আর স্যার জন মার্শালের নাম ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। ১৯২০’র দশকে সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই অনুমান করেছিলেন এই সভ্যতা যতটা মনে হচ্ছে তার চেয়ে বেশি প্রাচীন। তাই এব্যাপারে আরো গবেষণা করার জন্য যোগ্য কাউকে পাঠানোর জন্য কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি পাঠালেন জন মার্শাল। বইয়ের ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখক দাবি করেছেন, তখনকার দিনে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে অভিজ্ঞ লোক একমাত্র তিনিই ছিলেন। তাই তাকেই পাঠানো হল।১৯২৮ সালে মহেঞ্জোদারো নিয়ে গভীরতর গবেষনার জন্য অতুল সুর পৌছলেন সিন্ধু প্রদেশের লারকানায়।বেশকিছুদিন আগে কোথাও পড়েছিলাম, দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে পৌছে যাওয়ার একটা প্রবণতা অতুল সুরের লেখায় খুজে পান পাঠকেরা। এই বইটা পড়ার সময় আমার তেমন লাগেনি আসলে। বরং নিজের বক্তব্যের দূর্বল দিকগুলো অকপটে প্রকাশ করার মধ্যে বেশ বড় মনের একটা পরিচয় পাওয়া যায়।তিনি যেহেতু সিন্ধু সভ্যতা নিয়ে গবেষনাকারী প্রথম বাঙালি গবেষকদের একজন তাই এই সভ্যতার ব্যাপারে আগ্রহী যে কেউ তার লেখা পড়তে আগ্রহী হবেন, সেটা বলাই বাহুল্য।প্রাচীন ভারতের ব্যাপারে বেশ কিছু ইন্টারেসটিং বই লিখেছেন ঐতিহাসিক, নৃতাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক অতুল সুর। যেমনঃ বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, চৌদ্দ শতকের বাঙালি, বাংলা ও বাঙালি, দেবলোকের যৌনজীবন, ভারতের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, প্রাগৈতিহাসিক ভারত, তিন শ বছরের কলকাতা, ভারতীয় বিবাহের ইতিহাস ইত্যাদি। অধ্যায় সমূহঃ ১৪০ পৃষ্ঠার বইটিকে নয়টি অধ্যায়ে ভাগ করেছে লেখক। সেগুলো হলঃ ১. প্রাককথন ২.মহেঞ্জোদারোর কথা, ৩. সিন্ধু সভ্যতার উদ্ভব, ৪. সিন্ধু সভ্যতার ইতিহাস ও বৈদিক বৈরিতা, ৫. সিন্ধু সভ্যতার গঠনে প্রাগার্ধদের দান, ৬. সিন্ধু সভ্যতায় বিজ্ঞানের ভূমিকে, ৭. সিন্ধু সভ্যতায় প্রাগার্ধদের দান, ৮. সিন্ধু সভ্যতার লোকের কোন নরগোষ্ঠীর লোক ছিলেন, ৯. সিন্ধু সভ্যতার নগরসমূহের পতন। ননফিকশন বইয়ের পেছনে ইন্ডেক্স বা নির্ঘন্ট না থাকলে বিরক্ত লাগে। এই বইতে বেশ ভালোভাবে আছে। ব্যাপারটা আরামদায়ক।বইয়ের অধ্যায় বিন্যাস দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, লেখক সিন্ধু সভ্যতার মোটামুটি একটা পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এই বইতে। আর আমার মতে, পেরেছেনও বেশ ভালোভাবেই। আমি ইতিহাসের ছাত্র নই, তবুও বইটা পড়তে কোনো অসুবিধাই হয়নি, বেশ সহজে বুঝেছি। কোনো কোনো ব্যাপারে আরো জানার আগ্রহ পাচ্ছি। এটা অবশ্যই বইটার বিরাট সফলতা।পৌনে এক শতাব্দীর বেশি সময় আগে লেখা এক্টা বই পড়তে যেসব অসুবিধা হওয়ার কথা সেগুলোও খুব বেশি ফেস করতে হয়নি। আমার কাছে লেখা বেশ আরামদায়ক মনে হয়েছে। সর্বোপরি আমি যে উদ্দেশ্যে বইটা পড়েছিলাম সেটা সফল হয়েছে, এটাই আসল কথা। আমি যা ভাবছিঃপ্রতিটা বই পড়ার পরে রিভিউ লেখার চেষ্টা করব বলে একরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই রিভিউ সেই সিদ্ধান্তেরই বাস্তবায়ন। যদিও ব্যাপারটা যে চালিয়ে যেতে পারব সেব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।এই বইয়ের ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণমূলক আলোচনায় যাওয়ার জন্য আমি সঠিক মানুষ নই। তাই সেদিকে যাচ্ছি না। বইটা পড়ার সময় গুগল কিপে এলোমেলোভাবে কিছু নোট রেখেছিলাম, সেগুলো এখানে যোগ করে দিলে পরবর্তীতে বেশ কাজে দেবে, তাই যোগ দিচ্ছি। সিন্ধু সভ্যতা সমাচার বা হরপ্পার হালচালঃপেজ...

Read More

পাঠক প্রতিক্রিয়া – দি আইস ড্রাগন

অসাধারণ সমাপ্তি গল্পটিকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
শব্দচয়ন এবং সাবলীল ভাষা ব্যবহারের ফলে একবারের জন্যও মনে হয় নি অনুবাদ পড়ছি। এক্ষেত্রে অনুবাদকের প্রশংসা করা বাঞ্ছনীয়।

Read More

দি আইস ড্রাগন (কিছুটা পড়ে দেখুন)

নিহার নন্দিনী জর্জ আর. আর. মার্টিনের “দি আইস ড্রাগন”। “সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার” ইউনিভার্সের প্রথম বই। ছোট্ট ইলাস্ট্রেটেড বইটার কিছু অংশ এখানে দিয়ে দিচ্ছি। ইলাস্ট্রেশন সহ। বইয়ে যেমন আছে ঠিক তেমন। আশা করছি, এই একটা চ্যাপ্টার পড়ার পরে বইটা পড়তে চান কিনা এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে পাঠকদের জন্য। ইলাস্ট্রেশন প্রথম অধ্যায় মেয়েটার নাম অ্যাডারা। সে শীত ভালোবাসে। ভীষণ ভালোবাসে। শীত ভালোবাসে কারণ শীত আসলে চারপাশ যখন বরফে ঢেকে যায়, কনকনে হিমেল হাওয়া বয়, নীহার বিন্দু গাছের পাতায় ঝুলতে থাকে মুক্তোর মত, শুধুমাত্র তখন আইস ড্রাগন আসে। অ্যাডারা জানে না, আইস ড্রাগন আসে বলেই শীত আসে নাকি শীত আসলেই আইস ড্রাগন আসে। এসব নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথাও নেই। শুধু সময়মত আইস ড্রাগন আসলেই সে খুশি। তবে এই সব প্রশ্ন নিয়ে যার প্রচন্ড মাথাব্যথা সে হল, অ্যাডারার ভাই গোয়েফ। গোয়েফ অ্যাডারার থেকে দুই বছরের বড়। তাবদ দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে গোয়েফের ব্যাপক কৌতুহল, হাজার হাজার প্রশ্ন। ইলাস্ট্রেশন ২ প্রচন্ড এক শীতের রাতে জন্মেছিল অ্যাডারা। এত তীব্রশীত আর কবে পড়েছিল মনে নেই কারো। এমনকি গ্রামের থুরথুরি বুড়ি লরা, যে এলাকার সবার জন্মের আগের কাহিনি জানে, সেও এমন তীব্র শীতের কোনো স্মৃতি মনে করতে পারে না। সেই তীব্র শীতের রাতের কথা এখনও পাংশু মুখে বলাবলি করে লোকজন। হিম-শীতল অভিব্যক্তি নিয়েই সব শোনে হিমকন্যা অ্যাডারা, নিজে কিছু বলে না, কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখায় না। অ্যাডারাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান অ্যাডারার মা। লোকজন সেই কাহিনীও বলাবলি করে নিজেদের মধ্যে। যদিও সরাসরি অ্যাডারাকে কেউ কিছুই বলে না, কিন্তু অ্যাডারা সবই শুনতে পায়, সবই জানে। কেউ কেউ তো এমনও বলে যে, শীত অ্যাডারার মায়ের জরায়ুতে ঢুকে গিয়েছিল, এই জন্যই অ্যাডারার রং এমন ফ্যাকাশে, শরীর এমন শীতল। আড়ালে আবডালে কেউ কেউ তাকে হিমকন্যা (উইন্টার’স চাইল্ড) ডাকে। অ্যাডারা চুপচাপ শুনে যায়। নিরুত্তাপ, নিরুদ্বেগ, প্রতিক্রিয়াহীন। বলার কিছু নেইও অবশ্য। লোকের কথা অবিশ^াস করারও উপায় নেই। সত্যিই তার গায়ের রং কেমন ফ্যাকাশে, নীলাভ একটা আভা আছে। আর আডার শরীরও সবসময় ঠান্ডা থাকে, কখনও গরম হয় না। সবাই বলে শীত তাকে চুমু দিয়ে গেছে, নিজের করে গেছে। তবে যে যাই বলুক, বাবার কাছে সে তুষার তনয়া, নীহার নন্দিনী। ইলাস্ট্রেশন ২ মোটকথা, প্রায় সবাই অ্যাডারাকে একটু অন্য চোখে দেখে, স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। আবার এটাও সত্যি যে, অ্যাডারা তার বয়সী আর দশটা মেয়ের মতও না। চুপচাপ ধরনের, কারো সাথে খেলা-ধূলা, ছুটাছুটি, এসবে তেমন আগ্রহ নেই। সবাই তাকে সুন্দর বলে, অনেকবার শুনেছে সে। কিন্তু ও জানে না, ওর ফ্যাকাশে রংটা হলদেটে সোনালী চুলের সাথে মানিয়ে গেছে ভীষণভাবে। আর সাথে স্বচ্ছ উজ্জ্বল নীল চোখ ওর পার্থিব সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সবমিলিয়ে ওর প্রতি কৌতুহল জাগবেই যে কারো, কাছে আসতে মন চাইবে, জানতে ইচ্ছে করবে, কিন্তু বড় ছোট সবাই তার থেকে একটু যেন দূরে দূরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। এই মেয়ে হাসে খুব কম। আর তাকে কখনও কাঁদতে দেখেনি কেউ। তার বয়সী মেয়েরা যেমন...

Read More

অনুবাদকের কথা- দি আইস ড্রাগন

বইয়ের শুরুতে অনুবাদকের কথায় আমি এই লেখাটার কিছু অংশ দেয়া আছে। ফুল কভার বেশ কিছুদিন আগে, আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে আমার লেখা একটা ছোটগল্প পড়তে দিলাম। গল্পটা লেখার সময় আমার মাথায় যে বিষয়টা ছিল, সেটা হল, “অদৃষ্টের অবিচার”। কিন্তু কথাগুলো সরাসরি লিখতে তো ভালো লাগে না। তাই গল্পটাকে হালকা প্রেমের মোড়কে মুড়িয়ে দিয়েছিলাম। গল্পটা পড়ার পর বন্ধুরা বলল, গল্পটা পড়ে তাদের কাছে প্রেমের গল্প মনে হয়েছে। তাদের কোনো দোষ অবশ্যই দেবনা। আমিই পাতি লেখক, সম্ভবত নিজের কথাটা বোঝাতে পারি নি। মহিউল ইসলাম মিঠু এই কাহিনিটা বলার কারণ হল, আইস ড্রাগন গল্পটা ছোট্ট একটা মেয়ের বালখিল্যতার মোড়কে মোড়ানো একটা ” বন্ধু-বিয়োগ”-এর সূ² অথচ গভীর এক বেদনার গল্প। যে সব লেখক এরকম সহজ একটা গল্পের ছলে হৃদয়ের গভীরের অজানা বা মরচে পড়া অনুভূতিগুলো নাড়িয়ে দেন, প্রায় সময়ই দেখেছি, এই জাতের লেখকরা খুব দ্রæত আমার হৃদয়ের গভীরে জায়গা করে নেন। জর্জ আর. আর. মার্টিন যে তেমনই একজন এব্যাপারে সম্ভবত অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন। কিন্তু সববয়সের পাঠকের পাঠোপোযোগী একাধিক লেয়ারের এই গল্পকে আমি বাংলায় কতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি সেটা বিচার করবেন পাঠক। যদি কিছু কমতি থাকে তাহলে জানাবেন, ভবিষ্যতে আবার যতটা পারি সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। কারন, আমি নিজের কাছে প্রমিজ করেছি, এখন থেকে শুধু সেই বইগুলো নিয়েই কাজ করব, যেগুলো নিয়ে বারবার কাজ করতেও আমার কোনো বিরক্তি আসবে না। প্রচ্ছদ এবার বইয়ের কথায় আসা যাক। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে। ‘গেম অব থ্রোন্স’ প্রকাশের দেড় দশকেরও বেশি সময় আগে।কিন্তু আর আর মার্টিনের আইস অ্যান্ড ফায়ার ইউনিভার্সের জন্ম এই বই দিয়েই। সাহস, ত্যাগ, আর বন্ধুত্বের এই ছোট্ট শিশুতোষ বইটি মনে যে দাগ কেটে যায় সেটা বহুদিন রয়ে যাবে। মানবমনের চিরন্তন বৈপরীত্যের যে সহজ কিন্তু শক্তিশালী প্রকাশ মার্টিনের লেখায় পাওয়া যায়, এই ছোট্ট বইটাতেও তা পাওয়া যাবে। বইটা পড়ারা সময় শান্তিময় এক শান্ত অনুভূতি আমাকে ঘিরে ছিল। পড়ার পরই আমি জানতাম, আমি বইটা অনুবাদ করতে চাই। অনুবাদ করতে গিয়ে আনন্দটা পেয়েছি আরো বেশি। কারন আমার মনে হয় অনুবাদ করার জন্য যখন ভাবতে হয় তখন সাহিত্যের বাহ্যিক পর্দাটার ভেতরের ব্যাপারগুলো সামনে আসার ফুসরত পায়। পড়ার সময় বইটা শুধু ভালো লেগেছিল। অনুবাদ করার পর এটার ফ্যান হয়ে গেছি। বইটাতে যে আনন্দ আছে বাংলা অনুবাদে সেটার শতভাগ পাঠকের কাছে পৌছে দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই জানি। তবুও কিছুটা হয়তো পেরেছি। তাতেই আমি খুশি। আমার পাঠকরাও সেটুকুতে অসন্তুষ্ট হবেন না, সেটাও জানি। তবে শেষে বলতে চাই, বইটা নিয়ে আমি গর্বিত। আমার কাছে একটা ভালো কাজ, সারাজীবনের সম্পদ। তাই গর্ব হলে দোষ দেয়া যায় না, তাই না? যতবার আমি বইটার দিকে তাকাবো ভালো লাগবে। জীবনের অর্থ নতুন মাত্রা পাবে। তবে ভালো একটা কাজ যে মানসিক শান্তিটা দেয়, তার সাথে আর কিছুরই তুলনা চলে না। এ তো গেল আমার কথা। পাঠকদের অনেকেরই হয়তো ভালো লাগবে না আমার অনুবাদ। তাদের বলব, অনুবাদ ভালো না লাগলে, অরিজিনালটাই পড়ুন। বইটা...

Read More