Giveaway 4 (লিজিয়ন)
গতকাল শুরু করেছি চার নম্বর গিভএওয়ে। ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসনের লিজিয়ন সিরিজের প্রথম বই ‘লিজিয়ন’-এর ইবুক প্রকাশনা উপলক্ষ্যে চলছে এই গিভএওয়ে।
লিজিয়ন – প্রথম অধ্যায়
কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হল বিখ্যাত আমেরিকান লেখক ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসনের ‘লিজিয়ন’। বইয়ের প্রথম অধ্যায়টা এখানে দিয়ে দিচ্ছি। যাতে পাঠক কাহিনীর সাথে একটু পরিচিত হতে পারেন, সাথে অনুবাদের মান নিয়েও মনে শঙ্কা না থাকে
গ্যান্ডালফের গল্প
লর্ড অফ দ্য রিংস ইউনিভার্সের সবচেয়ে বিখ্যাত উইজার্ড গ্যান্ডালফ। সময়ের শুরু যখন থেকে গ্যান্ডালফের শুরুও তখন থেকে। সে আইনুদের একজন। লর্ড অফ দ্য রিংস ইউনিভার্সের আইনুরা হল আধ্যাত্মিক স্বত্ত্বা। দুই ধরনের আইনু আছে:ভালা আর মায়া। পৃথিবীর সকল সৃষ্টির দেখাশোনা করে ভালারা, আর এই কাজে ভালাদের সাহায্য করে মায়ারা।
মিডল আর্থের জাদুকর
তৃতীয় যুগের ১০০০ সালের দিকে ম্যানওয়ে যখন দেখলেন মিডল আর্থে আবার ডার্কলর্ড সাউরন শক্তিসঞ্চয় করতে শুরু করেছে তখন, ম্যানওয়ে তার বিশ্বস্ত পাঁচ জন মায়াকে মিডলআর্থে পাঠান। এদের নামগুলো বলি: কুরুমো, অলোরিন, আইওয়েনডিল, মরিয়েনতার, রোমেসটামো।
দি হবিট (প্রথম অধ্যায়)
এক গর্তে বাস করত এক হবিট। গর্ত শুনলে যেমন স্যাঁতস্যাঁতে, নোংরা একটা জিনিসের কথা মনে পড়ে। এই গর্ত মোটেও সেরকম নয়। গর্তটা একটা হবিটের। হবিটের গর্ত মানে সুন্দর সাজানো, গোছানো, পরিপাটি একটা গর্ত। হবিটের বাড়ি। এক কথায় যাকে সুখের স্বর্গ বলে।
দি হবিট- বই পরিচিতি
১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হওয়া এই এভারগ্রিন ক্লাসিক পঞ্চাশের দশকে লেখককে আরও একটি অনবদ্য কাজে উদ্বুদ্ধ করে। জন্ম হয় ফ্যান্টাসী দুনিয়ার আরেক মাইলস্টোন ‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’। ।
গিভএওয়ে ৩
মাঝে মাঝেই আমার পেজ থেকে প্রিয় পাঠকদের জন্য গিভ-এওয়ে প্রোগ্রাম রাখছি। আপাতত করোনার কারনে শুধু ই-বুক দেয়া হচ্ছে। ভাবিষ্যতে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলে হার্ডবুকও দেয়ার প্ল্যান আছে। এর আগেও বেশ কিছু গিভএওয়ে করেছিলাম। সেগুলো নিয়ে কোনো পোস্ট করিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সবগুলোর একটা ডকুমেন্ট অন্তত থাকা উচিত। এজন্যই এই পোস্ট। যাই হোক গত ২৫ জুলাই ২০২০ তারিখে যে গিভএওয়ের আয়োজন করা হয়েছিল তার বিজয়ীরা হলেন, নুসরাত জাহান শামামা এবি রায়হান স্বপ্নচূড়া রাফায়েত আলম রিফাত মোহাম্মদ আশিকুর রাহমান নুর জারসিস আযাদ সৈকত আহসান হাবিব আব্দুল ফাত্তাহ সাদিয়া আফরিন ধন্যবাদ সবাইকে যারা সবসময় আমার পাশে থাকে এবং ভালোবাসা...
দি হবিট-অনুবাদকের কথা
লেখকরা মাঝেমাঝেই লেখার ক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেন। ‘দি হবিট’-এর ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। লেখক টোলকিনের এক আন্টির ফার্মের নাম ছিল ‘ব্যাগ এন্ড’। বিলবোর বাড়ি। আবার ১৯১১ সালে টোলকিনের বসন্তটা কেটেছিল সুইজারল্যান্ডের মিস্টি মাউন্টেন্সে বন্ধুদের সাথে হাইকিং করে। এই বইয়ের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে মিস্টি মাউন্টেন্স। বইয়ে দানব মাকড়শাদের দেখা পাবেন পাঠক। ছোটবেলায় নাকি মাকড়শা কামড়েছিল টোলকিনকে। আর ‘ব্যাটল অব ফাইভ আর্মিজ’ হয়তো লেখকের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে।
দি হবিট-পাঠ প্রতিক্রিয়া
আমি শুধু প্রথম অধ্যায়টা পড়েছিলাম তারপরের অধ্যায় গুলো বই আমাকে পড়তে বাধ্য করেছে। মহিউল ইসলাম মিঠু ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা বই বাংলাভাষায় অনুবাদ করার জন্য।
পাঠক প্রতিক্রিয়াটি লিখেছেন: রাফায়েত ইসলাম রিফাত
চেতনা জাগাই- ফলো আপ
গত ১৫ এপ্রিল চেতনা জাগাই করোনা থামাই নামে একটা ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলাম। যেহেতু পাঠকদের টাকা দিয়েই ফান্ড রেইজ করছি, তাই স্বচ্ছতা জরুরী মনে হচ্ছে। এইজন্য এই ফলো আপ পোস্ট। এপ্রিল মানে এপর্যন্ত বইটইতে আমার ইবুক বিক্রি হয়েছে ১৩ টি। যেগুলোর জন্য পাওয়া গেছে ২৫৭ টাকা। যেহেতু বইটইও আমার ক্যাম্পেইনের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে নিজেদের অংশটাও এই ফান্ডে দিচ্ছে, তাই যাচ্ছে। সেইবইতে বিক্রি হয়েছে ১৬টি। সেখান থেকে পাওয়া গেছে ২৬০টাকা। সেইবইয়ের ৩০% বাদ দিলে থাকবে ১৮২ টাকা। এই ১৮২ টাকা যাচ্ছে ফান্ডে। অর্থাৎ মোট যাচ্ছে (১৮২+২৫৭) ৪৩৯টাকা। ক্যাম্পেইন শেষ হলে পুরো টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের প্রতিনিধির হাতে তুলে দেয়া হবে। যারা এই উদ্যোগে আমার পাশে ছিলেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। সবাই ভালো থাকবেন। দেয়া করবেন। ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে সব বিস্তারিত পাবেন এই লিংকে:...