সিরিজঃ ফেলুদা-নয়নরহস্য
অভিনয়েঃ আহমেদ রুবেল, আজাদ আবুল কালাম, রওনক হাসান, তৌকির আহমেদ, মানুনুর রশিদ, আবুল হায়াত
প্রযোজনাঃ আলফা আই প্রোডাকশন মিডিয়া
চিত্রনাট্য ও পরিচালনাঃ তৌকির আহমেদ।
ফেলুদাকে নিয়ে বায়োস্কোপ ডট কমে একটা সার্কাস দেখা যাচ্ছে, সার্কাসের নাম “নয়নরহস্য”৷ ফেলুদার বাংলাদেশি ভার্সনের কথা বলে মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাওয়া একটা খারাপ প্রোডাক্ট।
পরিচালকের নামে তৌকির আহমেদের নাম দেখে রীতিমত ধাক্কা লাগল। একধরনের সম্মান এই নামটার জন্য ছিল আমার কিন্তু আজকের পর নতুন করে ভাবতে হবে। যে লোক এই জিনিস পরিচালনা করল, তার ব্যাপার আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই বোধহয়।
কলকাতার ফেলুদাকে ঢাকায় আনতে গিয়ে কোথায় কোথায় কী কী যে করলেন কিছুই বুঝলাম না। প্রথম এপিসোডে সবাই আধুনিক গাড়ি ব্যবহার করছে আর ফেলুদা আসল ভিন্টেজ এক গাড়িতে। তোপসে স্নিকার্স পরেছে কিন্তু ফেলুদা প্যান্ট পড়েছেন নাভীর উপর, শার্ট টাকড-ইন। কি যে হাস্যকর! পরিচালক কোন সময়টাকে ধরতে চাইলেন বোঝার কোনো উপায় নেই। ফেলুদার চটকদার নাম ব্যবহার করে একটা বাংলাদেশী জগাখিচুরি।
চিত্রনাট্যও তৌকির নিজেই লিখেছেন। জটায়ুর নির্মল বোকামীগুলো কেমন জোর করে হাসানোর প্রচেষ্টা মনে হচ্ছিল আর এত ভ্যাবলা টাইপ তোপসে দেখলে সত্যজিৎ রায় হার্ট অ্যাটাক করতেন। হা করে তাকায় থাকা ছাড়া আর কিছু করতে দেখা যায় নাই তাকে। আর ফেলুদাকে তো পুরাই স্কুল-মাস্টার বানিয়ে ফেলেছে। আজাদ আবুল কালাম ভালো অভিনেতা, কিন্তু আর যাই হোক তিনি জটায়ু হতে পারেননি।আহমেদ ফারুক, রওনক হাসান, আবুল হায়াতের মত ভালো অভিনেতা থাকলেও মামুনুর রশিদ ছাড়া আর কেউ ফেলুদা সিরিজের অনুভূতিটা ধারন করতে পারলেন বলে আমার মনে হয় নি।
ফেলুদার মত অসাধারণ জিনিস নিয়ে যে এই জঘন্য কাজ হতে পারে সেটা আমার ধারনাতেও ছিল না। ফেলুদার স্বত্তাধিকারীদের কেউ হলে আমি জরিমানা করতাম।
বিঃদ্রঃ এর আগে পরমব্রতর আধুনিক স্টাইলের ফেলুদা কিন্তু আমার ভালো লেগেছিল।