গানের ভাবনা: ক্রুসেড – মেঘদল
শেষে ব্যক্তিগত একটা মতামত যোগ করতে চাই। পুরো গানটা ৬মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের। ৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের পর থেকে যেন ভিন্ন একটা গান। দুটো গানকে যেন জোর করে একসাথে করা হয়েছে।
সত্যজিৎ! আমার সত্যজিৎ!
সত্যজিৎ জানতেন কল্পনায় কতটুকু রঙ চড়ালে তা স্বপ্নময় হয়ে ওঠে। বেশিরভাগই কল্পনায় রঙ চড়াতে চড়াতে কল্পনাটাকেই ফ্যাকাশে বানিয়ে ফেলে। ঠিক এই জায়গাটাতেই সম্ভবত সত্যজিৎ তার সময়কেও ছাড়িয়ে গেছেন।
বুক রিভিউ: চাঁদের পাহাড়
পড়ার সময় বারবার কৈশোরে ফিরে যাচ্ছিলাম। প্রথমবার পড়ার সেই রোমাঞ্চগুলো ফিরে ফিরে আসছিল। একইসাথে পুরোনো সেই নির্মল সুন্দর দিনের আনন্দ, আর সেই দিন হারানোর আফসোস একসাথে মিশে একটা অবর্ণনীয় অনুভূতি হচ্ছিল। এখন লেখার সময় লজ্জা লাগছে হালকা।
বই নিয়ে: প্যান্টি ও অন্যান্য গল্প
বই পড়া শেষে মনে হয়েছে, এই বইটা না পড়লেও চলত। সময় নষ্ট পুরা সেটা বলব না। লেখনী, লেখার দর্শন, শব্দচয়ন, আর জটিল জিনিসগুলোকে সহজভাবে বলা, এই জিনিসগুলো ভালো লেগেছে।
জীবনের নানারকম সম্পর্ক, সেইসব সম্পর্কের সাথে শরীর আর মনের সম্পর্ক, এই সবকিছুই সাথে সমাজের সম্পর্ক। আবার আমাদের জীবনে এইসবকিছুর আলাদা আলাদা অবস্থান আর তাদের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। এসবই আমার সামনে আসলো।
এই লজ্জা আমরা কী দিয়ে ঢাকব?
একটা ব্যাপার নিশ্চিত আমরা আমাদের ছেলে সন্তানদের একটা বড় অংশকে শুধু পুরুষাঙ্গের ধারক বানাতে পারছি, মানুষ বানাতে পারছি না (পুুরুষ তো দূরের কথা)। সবচেয়ে বড় দুঃখের কথা হল, এই পুরুষাঙ্গের ধারকরা আমাদেরই ভাই-ভাতিজা-সন্তান। এই লজ্জা সোনার বাংলা কোন সোনালী ফসলের চাদরে ঢাকবে?
সিনেমা নিয়ে: কন্ট্রাক্ট
মোহাম্মদ নাজিমুদ্দীনের লেখা জনপ্রিয় বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের ‘কন্ট্রাক্ট’-এর ওয়েব সিরিজ অ্যাডাপশনটার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকমই মনে হল। ওয়েব সিরিজটা বেগ-বাস্টার্ড সিরিজ, নাকি রঞ্জু-বাস্টার্ড সিরিজ সেটা নিয়েই চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। বইটা আমি ৬-৭ বছর আগে পড়েছিলাম। কাহিনি অনেকটাই মনে নেই। কিন্তু শুধুমাত্র শুরুর দিকের উমা আর টাকার কাহিনি ছাড়া আর কোথাও কোনো মিল আছে বলে তো মনে হল না। বইয়ের পাত্রপাত্রীর নাম ব্যবহার করা ছাড়া আর কিছু নেয়া হয়েছে বলে তো মনে হল না। কন্ট্রাক্ট বইটা পড়ার পরে লেখকের লেখার ব্যাপারে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু আমি যদি বইটা পড়ার আগেই এই ওয়েব সিরিজ দেখতাম তাহলে ‘কন্ট্রাক্ট’ বইটা পড়ার কোনোরকম আগ্রহ তৈরি হত না নিশ্চিত।
বই নিয়ে: শরনার্থীর দিনলিপি
একাত্তর নিয়ে পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে আমার। আর ডায়েরি, স্মৃতিকথা তো আমার জন্য রসগোল্লা৷
বইটা বেশ হালকা মেজাজে শুরু হলেও অন্তর্নিহিত অনুভূতিগুলো খুবই গভীর। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন সাধারণ হোমিও চিকিৎসকের ভারত-যাত্রা ও ফিরে আসার গল্প আমাদের আন্দোলিত করারই কথা। আমাকেও করেছে। শ্রী কানাইলাল বাবুর স্বজন-বিয়োগ আমাকেও কাঁদিয়েছে। তার যাত্রার অনিশ্চয়তা আমাকেও অস্থির করেছে।
দি লর্ড অফ দ্য রিংস ১ (বই পরিচিতি)
‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’ সহিত্যের ইতিহাসে একটা ল্যান্ডমার্ক । গল্পের ডিটেইলিং-এ টোলকিনের মত মনযোগ খুব কম লেখকই দিতে পেরেছেন। আর ইংরেজি সাহিত্যে স্টোরিটেলিং-এর ধরনটাই পাল্টে দিয়েছিল তার ‘দি হবিট’ আর ‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’। পুরো লেখক জীবনে টোলকিন এই একটা ইউনিভার্সই তৈরি করেছেন।
কৃতজ্ঞতা-দি ফেলোশিপ অফ দ্য রিং ১
প্রুফ রিডিং : সালেহ আহমেদ মুবিন, কৌশিক দেবনাথ
বেটা রিডিং: জান্নাতুল ফেরদৌস ইপ্তি, আব্দুল্লাহ আর রায়হান, রিতু চক্রবর্তী, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, সালেহ আহমেদ মুবিন, মঈনুল ইসলাম, রাশেদুজ্জামান, জাহিদা নাসরিন, সৈয়দ আরফাত, জহুরুল হক, মাজেদা হক।
লর্ড অফ দ্য রিংস-অনুবাদকের কথা
লর্ড অফ দ্য রিংসের সাথে আমার পরিচয় ২০০৪ সালে। এই সিরিজের তৃতীয় সিনেমা ‘রিটার্ন অফ দ্য কিং’ রিলিজ হওয়ার পর। আমি তখন ক্লাস সিক্সে। টাংগাইলে থাকতাম।