বইয়ের নাম: প্যান্টি ও অন্যান্য গল্প
লেখক: সঙ্গীতা বন্দোপাধ্যায়
ধরন: ছোটগল্প সংকলন
প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা
ফোনের স্ক্রিনে আমার বন্ধু ও বিখ্যাত ফটোগ্রাফার সৈয়দ আরফাতের ম্যাসেজ ভেসে উঠল, “প্যান্টি পড়ছিস?”
আমি চ্যাট-হেডে ঢুকে উত্তর দিব, “আই লাভ বক্সারস।”
কিন্তু আমি চ্যাট-হেডে ঢুকতেই দেখি, ম্যাসেজের সাথে ছবিও আছে। ছবিতে এই বইয়ের প্রচ্ছদ।
সঙ্গীতা বন্দোপাধ্যায় একটা পরিচিত নাম, ভারতীয় পত্রিকায় তার লেখা পড়েছি কিছু। খুব ভালো লাগে তা বলব না, খারাপও লাগে না পড়তে। লেখায় একটা প্রমিজ থাকে, কিন্তু শেষে মনে হয় কিছুই পড়লাম না। যে সব লেখা এমন অনুভূতি দেয় সেগুলোও আমার খুব একটা পছন্দ না।
“প্যান্টি ও অন্যান্য গল্প” এই বইটার নাম আমি আগেও শুনেছি। প্রশংসাও শুনেছি। গুগলে সার্চ করতেই পিডিএফ পেয়ে গেলাম৷ নামিয়ে পড়ে ফেললাম।
আমি ফাস্ট-রিডার। বই পড়তে লেগেছে দুই ঘন্টার কিছু কম বেশি। বই পড়া শেষে মনে হয়েছে, এই বইটা না পড়লেও চলত। সময় নষ্ট পুরা সেটা বলব না। লেখনী, লেখার দর্শন, শব্দচয়ন, আর জটিল জিনিসগুলোকে সহজভাবে বলা, এই জিনিসগুলো ভালো লেগেছে।
জীবনের নানারকম সম্পর্ক, সেইসব সম্পর্কের সাথে শরীর আর মনের সম্পর্ক, এই সবকিছুই সাথে সমাজের সম্পর্ক। আবার আমাদের জীবনে এইসবকিছুর আলাদা আলাদা অবস্থান আর তাদের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। এসবই আমার সামনে আসলো।
অনেকের এসব ভাল্লাগে। আমার ভাল্লাগেনা।
বিভিন্ন নারী চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের বিভিন্ন দিক গভীরভাবে খতিয়ে দেখার একটা চেষ্টা আছে। অনেক নারী হয়ত নিজেদের কানেক্ট করতে পারবেন গল্পগুলোর সাথে। কিন্তু আমি উপভোগ করিনি।
তারচেয়ে বরং নেওয়াজ নাবিদের ‘কহশিমিয়ান’ দ্বিতীয় পার্টের শেষ অংশটুকু আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে, সেটা শেষ করলেও পারতাম। এই বইটার বেটা রিডিং করছি। ভালো লাগছে।
আরফাতকে এই বই না পড়ার রিকমেন্ডেশন রইল।