রিভিউটি লিখেছেন সামিয়া ইসলাম। সাথে সুন্দর ছবিটিও তিনিই ক্যাপচার করেছেন।
বই:-লিজিয়ন
মূল:-ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসন
অনুবাদ:-মহিউল ইসলাম মিঠু
প্রথম প্রকাশ:-ফেব্রুয়ারি ২০২১
প্রকাশনী:-ঐশ্বর্য প্রকাশ
প্রচ্ছদ:-মহিউল ইসলাম মিঠু
পৃষ্টা সংখ্যা:-৯৬
মুদ্রিত মূল্য:-২০০টাকা
প্রিয় উক্তি:-“জানা আর বোঝার মধ্যে পার্থক্য আছে।জানাটা ধারণার জন্ম দেয়,আর বোঝা জন্ম দেয় অনুধাবনের।”
কাহিনী সংক্ষেপ:-
স্টিফেন লিডস বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্র ঠিক সিজোফ্রেনিক রোগী না।কিন্তু এমনই এক সাইকোলজিকাল রোগে আক্রান্ত যে তিনি তার কল্পনায় আলাদা একটা জগৎ নিয়ে বেঁচে আছে।স্টিফেন তার হ্যালুসিনেশনে অনেক মানুষকে দেখতে পায়,তাদের সাথে কথা বলে,দৈনন্দিন কাজে নির্ভর করে তাদের উপর।এই মানুষগুলোর ব্যাপারে স্টিফেন এর মন্তব্য হলো এককথায় জিনিয়াস।জিনিয়াস এই মানুষগুলো কে নিয়ে নানা ধরনের জটিল সব রহস্যের মোড়ক উন্মোচন করে সে।তার মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে সেটা জানতে চায় বিজ্ঞানীর দল।এজন্য বিভিন্ন সময়ে প্রফেসরদের গবেষণার বিষয় হয়ে উঠতে হয়েছে স্টিফেনকে।
একদিন এক নাম ঠিকানাবিহীন সাদা খামে আসা একটি ফটোগ্রাফ এই গল্পের মোড় নিয়ে যায় অন্য দিকে।শুরু হয় নতুন রহস্যের অবতারনা।ঘটনাচক্রে ফটোগ্রাফটির পেছনে যে ক্যামেরার অবদান ছিলো সেটি উদ্ধার করতে কাজে লেগে পড়ে স্টিফেন ও তার হ্যালুসিনেশনরা।কিন্তু কেন এই ক্যামেরা নিয়ে এত তোলপাড়, এত অনুসন্ধান আর তার সাথে স্টিফেন এর হারানো ভালোবাসার কি সম্পর্ক তা জানতে পড়তে হবে ‘লিজিয়ন’।
পাঠ প্রতিক্রিয়া:-
মূলত গল্পের এক সাইক্রিয়াটিস্ট এর দেয়া স্টিফেন লিডস এর নিকনেম ‘লিজিয়ন’ থেকে বইটির নামকরণ করা হয়েছে ‘লিজিয়ন’।এটি নভেলা সিরিজ ‘লিজিয়ন’ এর প্রথম বই। কল্পনা,বিজ্ঞান,মনোবিজ্ঞান,ইতিহাস,সন্ত্রাস,অ্যকশন,টুইস্ট,সবকিছু মিশিয়ে যে এমন দারুণ প্লট নিয়ে বই থাকবে ভাবনায় ছিলোনা।কিছুটা সাই-ফাই এর ও মিশ্রণ ছিলো।আর পুরাও গল্প জুড়ে কিছু অসামান্য মেধাবীর উপস্থিতি আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।এমন লেভেলের বই খুব কমই পড়েছি।নিশ্চিত করে এটিকে নির্দিষ্ট একটা জনরায় ফেলা মুশকিল ই বটে।লেখক ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসন এর প্রশংসাই করতে হয় এমন একটা ভিন্নধর্মী বই লেখার জন্য।আর মহিউল ইসলাম মিঠু ভাইয়ার অনুবাদে এটিই আমার পড়া প্রথম বই।সে হিসেবে আশাহত হতে হয়নি।শুরুতে অনুবাদ কেমন হবে এই নিয়ে কিছুটা সঙ্কায় থাকলেও পুরো বই শেষ করার পর আমার ধারণা পালটে গেছে।উনার অনুবাদে বাকি বইগুলা ও সংগ্রহ করার খুব ইচ্ছা প্রকাশ করছি।
নেগেটিভ দিক:-
বইটা আকারে ছোট হওয়ায় প্রথমে একটু স্বস্তি লেগেছিল যদিও কিন্তু পড়ে শেষ করার পর মনে হলো গল্পটা আরো বড় হলে ভালো লাগতো।খুব সাদামাটা আর একটু বেশিই যেন সংক্ষেপে হয়ে গেছে।এটা নিতান্তই আমার ধারণা।আর দুই একটা বানান ভুল ছাড়া তেমন কিছু নেগেটিভ দিক চোখে পড়েনি।
ঐশ্বর্য প্রকাশনীর পড়া প্রথম বই ছিলো।বইয়ের পেজ,প্রচ্ছদ আর বাইন্ডিং এর প্রসংশা না করে পারছিনা।বেশ ভালো।
রেটিং:৪.৮/৫
হ্যাপি রিডিং।
বইটি সম্পর্কে সকল বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: লিজিয়ন বই পরিচিতি