বইটই থেকে ‘দি আইস ড্রাগন’
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ইবুক প্ল্যাটফর্ম ‘বইটই’ থেকে প্রকাশিত হল, ‘দি আইস ড্রাগন’। ১২ অক্টোবর বইটি প্রকাশের ব্যাপারে নিশ্চিত করে বইটই কর্তৃপক্ষ। মাত্র ২১ টাকায় বইটি কিনতে পারবেন বইটইয়ের যেকোন ব্যবহারকারী।বইটি এক্সক্লুসিভলি পাওয়া যাবে শুধুমাত্র বইটই অ্যাপে। বইটই কিউ আর কোড বইটই অ্যাপের কিউ আর কোড স্ক্যান অপশন থেকে উপরের কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়া প্লে-স্টোর থেকে “বইটই” অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করে “মহিউল ইসলাম মিঠু” বা “Moheul Islam Mithu” সার্চ করলেই আমার সবগুলো বই দেখতে পাওয়া যাবে। সেখান থেকেও ‘দি আইস ড্রাগন’ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। মোবাইল ভিউ খুব তাড়াতাড়িই হয়তো আমরা প্রোমোকোড দিতে পারব। সেজন্য এই ওয়োবসাইট অথবা ফেসবুকে পেইজে চোখ রাখতে হবে। খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস এবং গ্রাহকসেবা দিয়ে ‘বইটই’ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের মধ্যে। আমার বইটই প্রোফাইল বইটির সুন্দর প্রচ্ছদ করেছেন ‘সফটগ্যাদার আইটি’র গ্রাফিক ডিজাইনার জারসিস আজাদ সৈকত। কভার হার্ডকভার এবং পেপারব্যাকেও বইটি পাওয়া যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। প্রকাশকের সাথে বিস্তারিত আলাপ- আলোচনা চলছে। বইটির ব্যাপারে সব আপডেট এবং দি আইস ড্রাগন সংক্রান্ত সবকিছু জানতে এখানে ক্লিক...
দি আইস ড্রাগন (বই পরিচিতি)
গেম অব থ্রোন্স প্রকাশের দেঢ় দশকেরও বেশি সময় আগে। জর্জ আর আর মার্টিন-র আইস অ্যান্ড ফায়ার ইউনিভার্সের জন্ম এই বই দিয়েই। ড্রাগনের সাথে একটা ছোট্ট মেয়ের বন্ধুত্বের গল্প। হৃদয়ের গভীরের মরচে পড়া কিছু অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেয়ার গল্প।
অনলাইনে বইয়ের-দোকানে
১৯৯০’র দশকে জন্ম নেয়া বইপড়ুয়ারা জানে, বই না পাওয়ার কষ্ট কাকে বলে। বিশেষ করে আমরা যারা ছোট শহর আর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বেড়ে উঠেছি তাদের জন্য এলাকার বেইয়ের দোকানে পছন্দের বই পাওয়াটা এক কথায় ছিল অসম্ভব। বছরে ছয়মাসে একবার বড় বড় শহরগুলোতে আসতাম বই কিনে নিয়ে যেতাম। দেখা যেত, যেগুলো কিনতে চেয়েছিলাম সেগুলোর বেশিরভাগই কেনা যায়নি, কারন দোকানেই সেই বই থাকত না বেশিরভাগ সময়। আমাদের অবস্থা ছিল যাই পাই তাই খাই টাইপ। আমাদের কাজ ছিল, এলাকার পাবলিক লাইব্রেরি আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ঘুরে পুরাতন বই পড়া আর পত্রিকায় নতুন প্রকাশিত বইয়ের বিজ্ঞাপন দেখা। নতুন বই দেখার জন্য মন আকুপাকু করত কিন্তু বই পেতাম না। বন্ধুদের একজন বই কিনলে, সেই বই নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত। কে আগে পড়বে। আর যে আগে পড়ে কাহিনি বলে দেবে, তার কপালে শনি। এখন অবস্থা আর তেমন নেই। দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, পছন্দের বই অর্ডার করলে বই পৌছে যাবে দরজায়। বইয়ের জন্য সেই অদ্ভূত মধুর হাহাকার করার সুযোগটা বন্ধ হয়ে গেছে।পছন্দ বা আগ্রহের বইটা পড়ার ইচ্ছাটা মাটি হচ্ছে না ভুলেও। এই পোস্টে দেশের প্রথমসারির কিছু অনলাইন বুকস্টোরে আমার প্রোফাইল লিংকগুলো শেয়ার করতে চাচ্ছি। রকমারি অনলাইন বুকস্টোরের আলাপ আসলে সম্ভবত সবার আগে আসবে “রকমারি”র নাম। বিভিন্ন অফার, দ্রুত ডেলিভারি, আর বইয়ের বিরাট কালেকশন নিয়ে বাংলাদেশের পাঠকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। রকমারিতে আমার বইগুলো দেখতে ও অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে। রকমারি প্রোফাইল মাঝে মাঝেই আমি একটা সমস্যা ফেইস করছি। সেটা হল, অনলাইন বুকস্টোরে আমার প্রোফাইলে এমন কিছু বই পাচ্ছি যেগুলোর সাথে আমার কোনে সম্পৃক্ততা নেই। এব্যাপারে রকমারি এবং সংশ্লিষ্ট প্রকাশকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রথমে একবার এধরনের বইগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার কেন যোগ করা হয়েছে জানিনা। এব্যাপারে বারবার বলেও তাদের আটকানো যাচ্ছে না। তাই এজন্যই অনেকটা বাধ্য হয়েই এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটা তৈরি করেছি। যাতে আমার পাঠকরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারে যে ঠিক কোনগুলো আমার বই আর কোনগুলো নয়। আজকে পর্যন্ত (১১ নভেম্বর ২০১৯) আমার রকমারির প্রোফাইলে দুটো বই দেখা যাচ্চে যেগুলো আমার নয়। বইগুলো হল: বারাক ওবামার লেখা ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার এবং এপিজে আবদুল কালাম লার্নিং হাউ টু ফ্লাই (হার্ডকভার)। বইবাজার আরেকটি অনলাইন বুকশপ যেটি বাংলাদেশের পাঠকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে সেটা হল, বইবাজার ডট কম।ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট, এবং ক্রেতাসেবার জন্য বইবাজার বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তাদের সার্ভিস আরো ভালো হবে। বইবাজার প্রোফাইল বইবাজারে আমার বইগুলো দেখতে ও অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে। আমার বই নয় তবুও আমার প্রোফাইলে দেখানো হচ্ছে, বইবাজার প্রোফাইলেও এমন বই আছে। চারটা। ১. দ্য স্ট্রাগল ইজ মাই লাইফ – নেলসন ম্যান্ডেলা। ২. রহস্যময় ঘড়ি। ৩.লার্নিং হাউ টু ফ্লাই। ৪. দি স্কুল ফর রবিনসন। ইত্যাদি শপ অনলাইন বুকস্টোরগুলোর মধ্যে ইত্যাদি শপে ডেলিভারি চার্জ সবচেয়ে কম। মাত্র ৩০টাকা। আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের সার্ভিস কখনও ব্যবহার করিনি। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। ইত্যাদি শপ প্রোফাইল ইত্যাদি শপে আমার বইগুলো...
পার্সি জ্যাকসন: দ্য লাইটনিং থিফ (পাঠক প্রতিক্রিয়া)
রিভিউ লিখেছেন সালেহ আহমেদ মুবিন, তরুন লেখক, অনুবাদক, সম্পাদক। বিশ্বখ্যাত সিরিজ “দি গেম অব থ্রোন্স”-এর অনুবাদ করে মন জয় করে নিয়েছেন শত পাঠকের মন। সুন্দর রিভিউটির জন্য তাকে ধন্যবাদ। প্রচ্ছদ: ইবুক পার্সি জ্যাকসন এ্যান্ড দ্যা লাইটনিং থিফ রিক রিওর্ডান অনুবাদঃ মহিউল ইসলাম মিঠু . ধরুন আপনি আপনার অত্যাচারী সৎ বাবা এবং ভয়াবহ স্কুল থেকে বহু দূরে সমুদ্রের তীরে শান্তির এক দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন। সাথে রয়েছে আপনার মমতাময়ী মা। হঠাৎ সেখানে প্রবল ঝড় বৃষ্টির মাঝেই, একদম মধ্যরাতে হুট করে উপস্থিত হল আপনার স্কুলের বেস্ট ফ্রেন্ড। অবাক হবেন না? এর উপর যদি দেখা যায় আপনার বন্ধুর পা হাঁটুর নিচ থেকে পরিণত হয়েছে ছাগলের খুরে, তাহলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র নয়। ধরলাম এসব বাধা বিপত্তি পাড়ি দিয়েই দিলেন। এরপর যদি আপনাকে গাড়ি নিয়ে সেই মধ্যরাতেই তাড়া খেতে হয় পৌরাণিক দানব মিনোটরের, তাহলে কি আদৌ সুস্থ্য থাকা সম্ভব? মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে আপনার মা সেই মিনোটরের হাতে থেকেই যদি একরাশ আলোক রেখায় মিলিয়ে যায়? তাহলে আপনার অবস্থাটা কি হবে? বুঝতে পারছি হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। ওয়েট। আসল বিষয়টা এখনও বলিইনি। আপনার বয়সটা তখন থাকবে বার বছর। স্রেফ বার বছর! এবার চিন্তা করে দেখুন। এই ব্যাপারটাই ঘটল বার বছর বয়সী পার্সি জ্যাকসনের সাথে। হঠাৎ করেই একরাতের মাঝে সে নিজেকে আবিষ্কার করে বসল ভিন্ন আর ভয়াবহ এক জগতে। আবিষ্কার করল সেই জগতের বাসিন্দা সে নিজেও। কোনমতে প্রাণ নিয়ে সে পৌছল ক্যাম্প হাফ ব্লাডে। সেখানেই সে প্রথমবারের মত আবিষ্কার করল যে সে একজন ডেমিগড। তার বাবা স্বয়ং গ্রিক সমুদ্রদেব পোসাইডন! আর আধুনিক অলিম্পাস নাকি এই অ্যামেরিকার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এরই ছয়শ তলায়! তবে সব খারাপেরই ভাল দিক থাকে। ক্যাম্প হাফ ব্লাডেই সে পেল ভয়ংকর কিন্তু মায়াবতী বান্ধবী অ্যানাবেথকে, খুঁজে পেল বন্ধু গ্রোভারের পা ছাগ খুরযুক্ত হবার কারন, সেই সাথে পেল বৃদ্ধ শিক্ষক কাইরনকে, যে কিনা হারকিউলিস একিলিসদের মত বিখ্যাত ডেমিগডদেরকে নিজ হাতে শিক্ষা দিয়েছে। আর পেল এক বন্ধু, বড় ভাই লুককে। কিন্তু সব তালগোল পাকিয়ে গেল খুব শিঘ্রই। স্বয়ং দেবরাজ জিউসের অস্ত্র-বজ্র কিভাবে যেন নিখোঁজ হয়ে গেছে। সব দোষ চাপল পার্সির উপরে। তার পেছনে কারন আছে বৈকি। হাতে একটা উপায়ই বাকি আছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য খুঁজে বের করতে হবে আসল চোরকে। লাইটনিং থিফকে। আর এজন্য পাড়ি দিতে হবে বহু বিপদসংকুল পথ। যেতে হবে অতল পাতালের বহু গভীরে। উল্টেপাল্টে হবে পুরো জগৎটাকে। সময়য় কেবল দশদিন। সাথী হল বন্ধু গ্রোভার আর অ্যানাবেথ। টাইটান লর্ড ক্রনসের এখানে কি সম্পর্ক? শেষে গিয়ে সব রহস্য যখন সমাধানের পথে, আচমকাই পাঠকের চোয়াল ঝুলে পড়বে। জমে উঠবে খেলা। শুরু হবে বন্ধুত্ব, বুদ্ধি, বিপদ আর বিশ্বাঘাতকতার এক উপাখ্যান। প্রচ্ছদ: হার্ডকভার পাঁচ বই সিরিজের প্রথম বই হচ্ছে লাইটনিং থিফ। অনলাইন শপ বিবিধের পোষ্ট দেখে হঠাৎই মনে হল বইটা সম্পর্কে সবাইকে জানানো দরকার। গোগ্রাসে গেলা যাকে বলে ঠিক সে ব্যাপারটাই ঘটেছে এই সিরিজের বেলায়। লেখকের রসাত্মক বর্ণনায় মুখ টিপে হেসেছি। পার্সির স্টুপিডিটি,...
শচীনের কিছু অজানা তথ্য।
শচীন টেন্ডুলকার ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ বইটিতে লিখেছেন কিছু অজানা তথ্য। ১১-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫% ছাড়ে বইটি বিক্রি করেছে ফেসবুক ভিত্তিক বুকস্টোর “বিবিধ” এই লেখাটি তাদের পোস্ট থেকে নেয়া। 🏏 পাকিস্তানের হয়েও একবার ফিল্ডিং করেছিলেন শচীন। ১৯৮৮ সালে ব্রাবোর্নে ভারত পাকিস্তানের একটি প্র্যাক্টিস ম্যাচে পাকিস্তানের যথেষ্ট খেলোয়াড় উপস্থিত না থাকায় এমনটা করেছিলেন তিনি। 🏏 এমআরএফ পেস অ্যাকাডেমিতে তিনি গিয়েছিলেন একজন বোলার হওয়ার জন্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হয়ে গেলেন ব্যাটসম্যান। আর তারপরই তিনি হয়ে উঠলেন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। 🏏 সবসময় তিনি তাঁর ব্যাগে রাখতেন ভারতের পতাকা। প্রতি মুহূর্তে সাহস পাওয়ার জন্যেই নাকি সঙ্গে রাখতেন পতাকাটি । 🏏 বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক শচীনদেব বর্মনের ভক্ত ছিলেন তাঁর পরিবার। সেই সূত্রেই নাকি এই খেলোয়াড়কে শচীন নামটি দেওয়া হয়। 🏏 তিনি সবসময়ই বাঁ পায়ের প্যাডটি আগে পরতেন। শুধুমাত্র ব্যাট করা ছাড়া তিনি লিখতেনও বাঁ হাতে, আবার খেতেনও বাঁ হাতে । 🏏 বরাবরই গাড়ির উপর তাঁর দুর্বলতা রয়েছে। জীবনের প্রথম গাড়ি ছিল একটি মারুতি ৮০০। 🏏 পারফিউম এবং ঘড়ি বড্ড পছন্দ করেন। তাই এইসকল জিনিস জমিয়ে রাখার অভ্যাসও রয়েছে তাঁর। শচীন টেন্ডুলকার’র ভক্তদের অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো একটি বই। #সীমিত_সময়ের_জন্য সংগ্রহ করুন ৪৫% ছাড়ে! ====================|| মলাট মূল্য : ৫০০ টাকা|| রেগুলার মূল্য : ৩৫০ টাকা|| অফার মূল্য : ২৭৫ টাকা==================== 👉অতিরিক্ত ছাড়ে অন্যধারার আরো বই পেতে ক্লিক করুন :https://www.facebook.com/BibidhShop/posts/3095089500561366 ] Bibidh – বিবিধ – Anyadhara অন্যধারা বই উৎসব [(১১-১৮...
প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে (বই পরিচিতি)
ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রানের মালিক শচীন টেন্ডুলকার। দি লিটল মাস্টার। ২০১৩ সালে এই জীবন্ত কিংবদন্তীর ২৪ বছরের লম্বা ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পরিসমাপ্তি ঘটে।
এই বইতে তিনি নিজের গল্প বলেছেন। সেই ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু হওয়া শুরু হওয়া সুদীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথমদিন থেকে ২০০তম টেস্টের পরের সেই মন ছুঁয়ে যাওয়া বিদায়ী ভাষণ পর্যন্ত, সব গল্পই এই বইতে করেছেন।
শচীনের ছেলেবেলা
শচীন টেন্ডুলকারের অটোবায়োগ্রাফী “প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে” প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে। বাংলায় অনুবদের কাজটা করেছিলাম আমি। এই লেখাটি সেই বইয়ের প্রথম অধ্যায়। শচীনের শৈশব প্রচ্ছদ “বাবা, জীবনটা একটা বইয়ের মত। অনেকগুলো অধ্যায় আছে এতে। বইয়ের মতই শিক্ষাও আছে অনেক। অনেক ধরনের অভিজ্ঞতায় ভরা আমাদের জীবন। পেন্ডুলাম একবার সফলতার দিকে দুলবে, আরেকবার দুলবে ব্যর্থতার দিকে। সাফল্য, ব্যর্থতা, দু’টোরই আলাদা আলাদা শিক্ষা আছে। দু’টো থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। তবে বেশীরভাগ সময়ই সফলতার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষার চেয়ে, ব্যর্থতার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাই বেশি মূল্যবান। তুমি একজন ক্রিকেটার বা ক্রিড়াবিদ। তুমি তোমার দেশকে প্রতিনিয়ত বিশ্বের সামনে তুলে ধরছ। বলাবাহুল্য এ এক বিরাট সম্মান। কিন্তু কখনও ভুলে যেওনা এটাও জীবনের একটা অধ্যায় মাত্র। একটা মানুষ কতদিন বাঁচবে? বড় জোড় সত্তুর বা আশি বছর। এর মধ্যে তুমি খেলবে কত বছর? বিশ, খুব ভালো খেলতে পারলে হয়তো বা পঁচিশ, তার বেশি নয়। তারমানে কি? তোমার জীবনের বেশির ভাগটাই কাটবে ক্রিকেটের বাইরে। সোজা কথা হল, জীবনটা ক্রিকেটের চেয়েও অনেক বড়। শোন বাবা, আমি চাই তুমি ভারসাম্য রাখতে শেখো। তোমার সাফল্য যেন তোমাকে দাম্ভিক করে না তোলে। যদি বিনীত, নম্র থাকো তাহলে তোমার ক্রিকেটারের ছোট্ট জীবনটা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মানুষ তোমাকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে। একজন বাবা হিসেবে, “শচীন একজন ভালো খেলোয়াড়” এর চেয়ে “শচীন একজন ভালো মানুষ”Ñএটা শুনতেই বেশি ভালো লাগবে আমার।”কথাগুলো আমার বাবার। বেড়ে ওঠার সময় অগণিতবার এই কথাগুলো শুনেছি আমি। আমার জীবনদর্শন এই কথাগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে।আমার জন্ম মুম্বাইয়ের পূর্ব বান্দ্রায় এক রক্ষণশীল মহারাষ্ট্রীয় পরিবারে। থাকতাম সাহিত্যিরা সাহাওয়াস কলোনীতে। আমাদের কলোনীটা লেখকদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে জুৎসই একটা জায়গা কিন্তু আমি হয়ে গেলাম ক্রিকেটার। চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আমি। আমার বড় দু’ভাই আর এক বোন। ভাইদের নাম অজিত আর নিতিন আর বোনের নাম সাবিতা। আমি যে শুধুমাত্র বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্যই ছিলাম না, বাড়ির সবচেয়ে দুষ্টু সদস্য বলতেও আমাকেই বোঝানো হত।আমার বাবা রমেশ টেন্ডুলকার, সুপরিচিত মারাঠি কবি, সাহিত্য সমালোচক, অধ্যাপক। আর মা, রজনী টেন্ডুলকার। মা চাকরী করতেন ‘লাইফ ইনস্যুরেন্স কোর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’তে। আজকের এই আমি হওয়ার জন্য এই দু’জন মানুষের কাছে ভীষণভাবে ঋণী আমি। আমার জন্য জীবনে অসংখ্যবার অনেক অনাকাক্সিক্ষত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছেন তারা। কিন্তু কোনবারই আমার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায়নি তাদের, বারবার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাকে। সত্যি কথা বলতে, মাঝে মাঝে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই এই ভেবে যে, আমার মত এতটা দুষ্টু ছেলের সাথে মা-বাবা পেড়ে উঠতেন কিভাবে। আমি জানি, অসংখ্যবার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছি আমি কিন্তু তারা আমার এসব দুষ্টুমী বা বেয়াদবীর সাথে ঠিকই মানিয়ে নিতেন। কিভাবে পারতেন জানি না, আমি তাদের জায়গায় থাকলে অবশ্যই পারতাম না। আমার বাবা কখনও রেগে কথা বলতেন না আমার সাথে। তিনি বোঝাতেন যে, কেন আমার ঐ কাজটা করা উচিত নয়। তার এই বোঝানোর ব্যাপারটা সবসময়ই অনেক বেশি কাজে লাগত। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় বাবাকে হারানো আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর...
পাঠক প্রতিক্রিয়া: দি হবিট
রিভিউটি লিখেছেন: Rejaul Karim প্রচ্ছদ বই : দি হবিটলেখক : জে. আর. আর. টোলকিনঅনুবাদক : মহিউল ইসলাম মিঠুপ্রকাশনী : সবুজপাতা বইটা আসলে লেখক টোলকিন তার নিজ বাচ্চার জন্য লিখতে বসছেন,বাট পরে সেটা হয়ে গেলো সমস্ত পৃথিবীর বাচ্চাদের জন্য আর্দশ লিপির মতো বই।সব ধরনের অ্যাডভেঞ্চার আছে!বইটা কতটা পপুলার হয়েছে ভাবতে পারেন?৫১টা ভাষায় প্রায় অনুবাদ করা হয়েছে বইটা! প্লট …!একজন হবিট শান্তি প্রিয় জীবনে ভালো আছে,হঠাৎ আগমন ঘটে একজন যাদুকর এর যাকে আমরা এই বইয়ে দেখি গ্যান্ডালফ হিসেবে ।যে হবিট কে রাজি করায় অ্যাডভেঞ্চার করাতে..তাদের সাথে আছে অদ্ভূত আরও ১২ জন বামন। যারা যুদ্ধে উস্তাদ আর একান্ত ই পর্বতের রাজা থরিনের প্রিয় দল। এই ১৪ জনের দল বের হচ্ছে থরিনের রাজ্য ফিরে পাবার জন্য,আর সেখানেই অপেক্ষা করছে এই ১৪ জনের জন্য ভয়াংকর সব যুদ্ধ আর দৈত্য ধানব। পথি মধ্যে আছে বিশাল আকাড় মার্কশা, আছে গবলিন এবং অদ্ভুত যত ভয়ংকর প্রাণীদের সাথে যুদ্ধ।বন্ধু হিসেবে আসে,ঈগল ,ভাল্লুকে র রূপে এক বেয়র্ন। তার পর শুরু হয় ড্রাগনের সাথে যুদ্ধ।কি নেই এই বইয়ে?বাচ্চাদের বই ধরা হলেও, আমার মনে হয় যারাঅ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বইটা।তাহলে আর দেরি কেনো?বসে পড়ুন দি হবিট নিয়ে!ভালোবাসার এক বই! বইটা নিয়ে বসলে উঠতে ইচ্ছে হবে নাা শেষ করা পযর্ন্ত।খুব সুন্দর করে গুছানো লিখার একটা বই । হা্র্ডকভার প্রচ্ছদ প্রয়োজনীয় লিংক: বইটির পরিচিতি, আপডেটস, পাঠক প্রতিক্রিয়া, বইয়ের কিছু অংশ পড়ে দেখার লিংক সহ সবকিছু পাওয়া যাবে এখানে: দি হবিট – বই...
বইটইতে মিঠুর বই
সহজে কেনা যায়, যে কোনো সময় কেনা যায়, সবসময় হাতের নাগালে পাওয়া যায়, দামে খুবই সস্তা, যে কোনো অবস্থায় পড়া যায় ইত্যাদি বহু কারণে ইবুকের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে।গ্লোবাল নিউজ ওয়ারের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে বিশ্বে বইয়ের বাজারে ইবুকের অংশ ছিল ১২.৩%। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৫.৮%! বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই বৃদ্ধির ধারা নিকট ভবিষ্যতে আরো বহুগুণে বাড়বে। তার বিশ্বে বড় বড় প্রায় সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানই ইবইয়ে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।বাংলাদেশও পিছিয়ে নয়। বাংলাদেশে ইবইয়ের ব্যাপারে পাঠকদের মধ্যে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন থেকেই। ফলে মানসম্পন্ন ইবুক রিডার অ্যাপ আসতে শুরু করে।এরই ধারাবহিকতায়, জনপ্রিয় বাংলা কিবোর্ড অ্যাপ রিদমিক কী-বোর্ডের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিদমিক কী-বোর্ড প্রকাশ করেছে তাদের ইবুক রিডিং অ্যাপ “বইটই”!ইবুক পাঠকদের অনেকেই মনে করছে, বইটই অ্যাপটি এপর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ইবুক রিডার অ্যাপ। Bio On BOITOI গত ৬ অক্টোবর ২০১৯, বইটই ও মহিউল ইসলাম মিঠুর মাঝে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, মহিউল ইসলাম মিঠুর প্রায় সবগুলো বই পাওয়া যাবে বইটই অ্যাপে।পাঠকরা আরো সহজে ও খুবই কম মূল্যে বইগুলো কিনতে ও পড়তে পারবেন। ফলে সকল পক্ষই উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট সবাই।বইটাইতে মহিউল ইসলাম মিঠুর সবগুলো বই পেতে যেতে হবে এই লিংকে: https://boitoi.com.bd/author/132/moheul-islam-mithu?sort=title&page=1 বইটইতে বই যেভাবে পাবেন প্রথমে গুগল প্লেস্টোর থেকে “বইটই” অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে আপনার স্মার্টফোনে। ইন্সটল হয়ে গেলে আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্টার করে নিন। এবার সার্চ অপশনে গিয়ে “মহিউল ইসলাম মিঠু” লিখলেই পেয়ে যাবেন। এবার পছন্দমত বই কিনে ডাউনলোড করে পড়তে থাকুন। আর প্রতি্ক্রিয়া জানাতে পারেন আমাকে। বইটই একটি ইবুক রিডিং অ্যাপ। এখানে আপনি বই কিনতে ও পড়তে পারবেন। পাঠকবান্ধব অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ফিচার সমৃদ্ধ এই অ্যাপটিতে অসংখ্য ফ্রি বইও পাবেন। বইগুলো আপনার বইপড়ার জার্নিকে নিঃসন্দেহে আরো সমৃদ্ধ ও সহজ করবে। Proile on BOITOI Mobile VIew অনলাইনে বইয়ের-দোকানে ক্লিক করুন আমার অনলাইন প্রোফাইলের ব্যাপারে...
দি হবিট – বই পরিচিতি
১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হওয়া এই এভারগ্রিন ক্লাসিক পঞ্চাশের দশকে লেখককে আরও একটি অনবদ্য কাজে উদ্বুদ্ধ করে। জন্ম হয় ফ্যান্টাসী দুনিয়ার আরেক মাইলস্টোন ‘দি লর্ড অফ দ্য রিংস’। প্রকাশিত হওয়ার পর পরই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পায়।