পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন (সেলিনা আক্তার)
একগাদা রহস্য,সামান্য ইতিহাস,একটু বিজ্ঞান,অনেকগুলো প্রশ্ন আর কিছু অসাধারণ মেধাবী কাল্পনিক মানুষকে নিয়ে টানটান উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ভরপুর এই নভেলার প্রতি পাতায় পাতায় যেনো পাঠকদের জন্য রয়েছে চমক!
পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন (নিজাম উদ্দিন অপু)
সময় ধরে একটা টান টান উত্তেজনা বজায় ছিল। যদিও জনরাতে সাইফাই লেখা কিন্তু বইটি বিজ্ঞান, ধর্ম আর দর্শনের এক অসাধারণ মিশ্রণ। অনুবাদের কথা বলতে গেলে বেশ সাবলীল অনুবাদ করেছেন তিনি। মনে হয়নি কোনো অনুবাদ বই পড়ছিলাম। একদম ঝরঝরে অনুবাদ বলতে যা বোঝায় আর কি।
পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন (তমা দত্ত)
বইটি পড়তে গিয়ে আনন্দময় রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি পাড়ি দিয়েছি৷ অতি মানবীয় মস্তিষ্কের অধিকারী ব্যতিক্রমী স্টিফেন লিডস এর হ্যালুসিনেশনে দেখা মানুষগুলো সত্যিই জিনিয়াস ছিল। বইটি সববয়সী পাঠকদের এক ভিন্নতর রহস্য আর রোমাঞ্চের স্বাদ দিবে। অনুবাদকের অনুবাদও বেশ সহজ,সাবলীল আর গোছানো ছিল। বইটির প্রচ্ছদটিও দারুণ।
পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন
গল্প দারুণ গতিশীল ছিলো; এক বসাতেই শেষ করতে পেরেছি পুরোটা।গল্পটাই এমন যে আপনি একবার শুরু করলে গল্পই আপনাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। খুবই সামান্য কিছু যৌক্তিক ভুল বাদ দিলে বইটি দারুণ উপভোগ্য ছিলো।
মিঠু ভাইয়ের অনুবাদের হাত বরাবরই দারুণ।পুরো গল্পে কোথাও একঘেয়েমিতা আসেনি; বরং অনুবাদ ছিলো একদম সাবলিল।সহজ শব্দের ব্যবহার,ভাষাগত মাধুর্য এবং সাবলীলতা অনুবাদকে করেছে দারুণ উপভোগ্য।
বই নিয়ে: প্যান্টি ও অন্যান্য গল্প
বই পড়া শেষে মনে হয়েছে, এই বইটা না পড়লেও চলত। সময় নষ্ট পুরা সেটা বলব না। লেখনী, লেখার দর্শন, শব্দচয়ন, আর জটিল জিনিসগুলোকে সহজভাবে বলা, এই জিনিসগুলো ভালো লেগেছে।
জীবনের নানারকম সম্পর্ক, সেইসব সম্পর্কের সাথে শরীর আর মনের সম্পর্ক, এই সবকিছুই সাথে সমাজের সম্পর্ক। আবার আমাদের জীবনে এইসবকিছুর আলাদা আলাদা অবস্থান আর তাদের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। এসবই আমার সামনে আসলো।
এই লজ্জা আমরা কী দিয়ে ঢাকব?
একটা ব্যাপার নিশ্চিত আমরা আমাদের ছেলে সন্তানদের একটা বড় অংশকে শুধু পুরুষাঙ্গের ধারক বানাতে পারছি, মানুষ বানাতে পারছি না (পুুরুষ তো দূরের কথা)। সবচেয়ে বড় দুঃখের কথা হল, এই পুরুষাঙ্গের ধারকরা আমাদেরই ভাই-ভাতিজা-সন্তান। এই লজ্জা সোনার বাংলা কোন সোনালী ফসলের চাদরে ঢাকবে?
সিনেমা নিয়ে: কন্ট্রাক্ট
মোহাম্মদ নাজিমুদ্দীনের লেখা জনপ্রিয় বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের ‘কন্ট্রাক্ট’-এর ওয়েব সিরিজ অ্যাডাপশনটার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকমই মনে হল। ওয়েব সিরিজটা বেগ-বাস্টার্ড সিরিজ, নাকি রঞ্জু-বাস্টার্ড সিরিজ সেটা নিয়েই চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। বইটা আমি ৬-৭ বছর আগে পড়েছিলাম। কাহিনি অনেকটাই মনে নেই। কিন্তু শুধুমাত্র শুরুর দিকের উমা আর টাকার কাহিনি ছাড়া আর কোথাও কোনো মিল আছে বলে তো মনে হল না। বইয়ের পাত্রপাত্রীর নাম ব্যবহার করা ছাড়া আর কিছু নেয়া হয়েছে বলে তো মনে হল না। কন্ট্রাক্ট বইটা পড়ার পরে লেখকের লেখার ব্যাপারে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু আমি যদি বইটা পড়ার আগেই এই ওয়েব সিরিজ দেখতাম তাহলে ‘কন্ট্রাক্ট’ বইটা পড়ার কোনোরকম আগ্রহ তৈরি হত না নিশ্চিত।
বই নিয়ে: শরনার্থীর দিনলিপি
একাত্তর নিয়ে পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে আমার। আর ডায়েরি, স্মৃতিকথা তো আমার জন্য রসগোল্লা৷
বইটা বেশ হালকা মেজাজে শুরু হলেও অন্তর্নিহিত অনুভূতিগুলো খুবই গভীর। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন সাধারণ হোমিও চিকিৎসকের ভারত-যাত্রা ও ফিরে আসার গল্প আমাদের আন্দোলিত করারই কথা। আমাকেও করেছে। শ্রী কানাইলাল বাবুর স্বজন-বিয়োগ আমাকেও কাঁদিয়েছে। তার যাত্রার অনিশ্চয়তা আমাকেও অস্থির করেছে।
পাঠক প্রতিক্রিয়া ১: দি লর্ড অফ দ্য রিংস
এটি নিয়ে কিছু বললেই মনে হয় কম হয়ে যায় ভাই। জাস্ট অসায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ধারণ! মনেই হয়নি অনুবাদ পড়ছি। মনে হচ্ছিল,বাংলায় লিখিত কোন গল্প পড়ছি। শুরু থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে কোন কাঠিন্য ভাব ফুটিয়ে না তুলেই যে ভালো মানের অনুবাদ উপস্থাপন করা যায় তার উদাহরণ দেয়া যায় বলতে পারেন।
কবিতার অনুভূতি: হায় চিল
‘সোনালি ডানার চিল’ বলতে কবি ‘সোনালি স্মৃতি’ বোঝাতে চাইছেন। পুরো কবিতায় একটা স্মৃতিকাতরতা অনুভব করতে লাগলাম আমি। হারানো প্রেমের স্মৃতিতে কাতর এক প্রেমিকের অনুভূতি যেন এই কবিতা।