সত্যজিৎ! আমার সত্যজিৎ!
সত্যজিৎ জানতেন কল্পনায় কতটুকু রঙ চড়ালে তা স্বপ্নময় হয়ে ওঠে। বেশিরভাগই কল্পনায় রঙ চড়াতে চড়াতে কল্পনাটাকেই ফ্যাকাশে বানিয়ে ফেলে। ঠিক এই জায়গাটাতেই সম্ভবত সত্যজিৎ তার সময়কেও ছাড়িয়ে গেছেন।
বুক রিভিউ: চাঁদের পাহাড়
পড়ার সময় বারবার কৈশোরে ফিরে যাচ্ছিলাম। প্রথমবার পড়ার সেই রোমাঞ্চগুলো ফিরে ফিরে আসছিল। একইসাথে পুরোনো সেই নির্মল সুন্দর দিনের আনন্দ, আর সেই দিন হারানোর আফসোস একসাথে মিশে একটা অবর্ণনীয় অনুভূতি হচ্ছিল। এখন লেখার সময় লজ্জা লাগছে হালকা।
পাঠক প্রতিক্রিয়া – লর্ড অফ দ্য রিংস (ইপ্তি)
অনুবাদক মহিউল ইসলাম মিঠু এই বইয়েও তার অনুবাদের চিরাচরিত বিশেষত্ব “সাবলীলতা” ধরে রেখেছেন। বইয়ের কাগজের মান, ফন্ট সাইজ, লাইন স্পেসিং সবকিছুতেই যে পাঠকের সুবিধার কথা চিন্তা করা হয়েছে তা স্পষ্ট। আর বইয়ের সাথের ম্যাপ দুইটাও বেশ নজর কাড়ে। তবে পৃষ্ঠা অফহোয়াইট হলে পারফেক্ট হতো।
পাঠক প্রতিক্রিয়া – রিংস ১ (সারা)
কী বলবো ,আমি যেন এক রূপকথার রাজ্যে ঘুরে এলাম। পুরো বইটি মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছি।হারিয়ে গিয়েছিলাম কল্পনার রাজ্যে।বইয়ের কবিতাগুলো আমার বিশেষ নজর কেড়েছে।অনুবাদ হলেও এতো চমৎকার ছন্দ কীভাবে সম্ভব তাই ভাবছিলাম !বইয়ের এক অংশে তিনুভিয়েল ও বেরেনের প্রেমকাহিনী ;(প্রচলিত রুপকথা) কেনো জানি মনে দাগ কেটেছে।
পাঠক প্রতিক্রিয়া – রিংস ১ (নবনীতা)
“লর্ড অফ দ্য রিংস” সিরিজের প্রথম বই, “দি ফেলোশিপ অফ দ্য রিং” পড়ার পর এখন ইচ্ছে করছে; ঘুরে আসি মিডল আর্থ থেকে। শায়ারের হবিটনে ছোট্ট একটা গর্ত তৈরি করে হাসিখুশি হবিটদের সাথে কাটিয়ে দিই বাকিটা জীবন।
পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন (সেলিনা আক্তার)
একগাদা রহস্য,সামান্য ইতিহাস,একটু বিজ্ঞান,অনেকগুলো প্রশ্ন আর কিছু অসাধারণ মেধাবী কাল্পনিক মানুষকে নিয়ে টানটান উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ভরপুর এই নভেলার প্রতি পাতায় পাতায় যেনো পাঠকদের জন্য রয়েছে চমক!
পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন (নিজাম উদ্দিন অপু)
সময় ধরে একটা টান টান উত্তেজনা বজায় ছিল। যদিও জনরাতে সাইফাই লেখা কিন্তু বইটি বিজ্ঞান, ধর্ম আর দর্শনের এক অসাধারণ মিশ্রণ। অনুবাদের কথা বলতে গেলে বেশ সাবলীল অনুবাদ করেছেন তিনি। মনে হয়নি কোনো অনুবাদ বই পড়ছিলাম। একদম ঝরঝরে অনুবাদ বলতে যা বোঝায় আর কি।
পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন (তমা দত্ত)
বইটি পড়তে গিয়ে আনন্দময় রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি পাড়ি দিয়েছি৷ অতি মানবীয় মস্তিষ্কের অধিকারী ব্যতিক্রমী স্টিফেন লিডস এর হ্যালুসিনেশনে দেখা মানুষগুলো সত্যিই জিনিয়াস ছিল। বইটি সববয়সী পাঠকদের এক ভিন্নতর রহস্য আর রোমাঞ্চের স্বাদ দিবে। অনুবাদকের অনুবাদও বেশ সহজ,সাবলীল আর গোছানো ছিল। বইটির প্রচ্ছদটিও দারুণ।
পাঠক প্রতিক্রিয়া: লিজিয়ন
গল্প দারুণ গতিশীল ছিলো; এক বসাতেই শেষ করতে পেরেছি পুরোটা।গল্পটাই এমন যে আপনি একবার শুরু করলে গল্পই আপনাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। খুবই সামান্য কিছু যৌক্তিক ভুল বাদ দিলে বইটি দারুণ উপভোগ্য ছিলো।
মিঠু ভাইয়ের অনুবাদের হাত বরাবরই দারুণ।পুরো গল্পে কোথাও একঘেয়েমিতা আসেনি; বরং অনুবাদ ছিলো একদম সাবলিল।সহজ শব্দের ব্যবহার,ভাষাগত মাধুর্য এবং সাবলীলতা অনুবাদকে করেছে দারুণ উপভোগ্য।
বই নিয়ে: প্যান্টি ও অন্যান্য গল্প
বই পড়া শেষে মনে হয়েছে, এই বইটা না পড়লেও চলত। সময় নষ্ট পুরা সেটা বলব না। লেখনী, লেখার দর্শন, শব্দচয়ন, আর জটিল জিনিসগুলোকে সহজভাবে বলা, এই জিনিসগুলো ভালো লেগেছে।
জীবনের নানারকম সম্পর্ক, সেইসব সম্পর্কের সাথে শরীর আর মনের সম্পর্ক, এই সবকিছুই সাথে সমাজের সম্পর্ক। আবার আমাদের জীবনে এইসবকিছুর আলাদা আলাদা অবস্থান আর তাদের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। এসবই আমার সামনে আসলো।