মহিউল ইসলাম মিঠু। জন্ম বগুড়ায়। বেড়ে উঠেছেন সারা বাংলাদেশ (প্রায়) জুড়ে। বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বগুড়া থেকে এসএসসি, সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন।
তার মা গৃহিণী, বাবা সরকারি চাকুরে। বাবার বদলির সুবাদে ছোটবেলা থেকে শুরু করে কলেজ জীবনের আগপর্যন্ত অনেক জায়গায় থাকা হয়েছে তার, কিন্তু ঢাকার সাভার থেকে বেশখানি ভেতরে ঘন সবুজের নিরিবিলির মাঝে ঘর বাঁধার আগে কোথাওই শেকড় গড়ার মত দীর্ঘ সময় থাকা হয়নি। নানান জায়গায় নানানরকমের মানুষ আর তাদের জীবনধারার অংশ হয়েও এজন্যই হয়তো নির্দিষ্ট, বদ্ধ, একপাক্ষিক কোন দৃষ্টিকোণে বা গণ্ডিতে আটকে থাকতে হয়নি তাকে। স্বাধীনচেতা আর আত্ননির্ভরশীল যেমন ব্যক্তিত্বে, তেমনই চিন্তাভাবনাতেও। নইলে বয়স আঠারো পেরোনোর আগেই নিজের ভেতরের সব সন্দেহ আর অনিশ্চয়তা দূরে ঠেলে প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করতে পারতেন না।
মহিউল ইসলাম মিঠু তার সময়ের তুলনায় প্রগ্রেসিভ। ক্ষতিকারক বা সময় হয়েছে মনে হলে পুরনোকে ঝেড়ে ফেলতে যেমন দ্বিধাবোধ করেন না তেমনই যুগের পপুলিস্ট ধারণার সাথে তাল মেলাতে প্রাচীন সব ত্যাগ করতে হবে এমন ধারণাও রাখেন না। একই সাথে প্রগতি আর ঐতিহ্যের ছাপ যেমন তার ব্যক্তিত্বে, তেমনি লেখনীতেও। মূল লেখকের টোন ধরে রেখেও অনুবাদে যে একধরণের মৌলিকত্ব ও নিজস্বতা সৃষ্টি করা সম্ভব তা তিনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন বিভিন্ন ঘরানায় তার কাজগুলোতে।
বইয়ের প্রতি মহিউল মিঠুর ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। টিফিনের টাকা জমিয়ে বই কেনার গল্প তার পাঠকদের মত তারও আছে। তবে পার্থক্য সম্ভবত এখানে যে বড়বেলায় বাকিরা যেখানে স্মৃতিটুকু লালন করেন, মিঠু স্মৃতির পাশাপাশি তার সেই বইগুলোও সংরক্ষণে রেখেছেন আজও। সময়ের সাথে হারাতে বসেছে অথচ এক সময়ে কি দারুণ ব্যস্ততার সৃষ্টি করতো এমন জিনিসগুলোর প্রতি লেখকের একটা পক্ষপাতমূলক দূর্বলতা আছে। প্রাচীন সভ্যতা আর প্রত্নতত্ত্বের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ তার। দুই সহস্রাব্দের সন্ধিক্ষণে বেড়ে ওঠায় আশি আর নব্বইয়ের দশকের সাংস্কৃতিক জাগরণের শেষ ছোঁয়াটুকু পেয়েছেন পূর্বসূরীদের মাধ্যমে, আবার নতুন শতকের শুরুতে প্রযুক্তির প্রবেশও এক্সপেরিয়েন্স করেছেন। এর ছাপ লক্ষণীয় বইপড়া, লেখা আর প্রত্নতত্ত্বের পাশাপাশি তার দ্বিতীয় ভালোবাসা সঙ্গীতে। যখন লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন না, গিটার হাতে মোহনীয় টুংটাং-এ সময়ের খেয়াল হারাতে দেখা যেতে পারে তাকে।
অনেক জিনিসের প্রতি আগ্রহ রাখেন এমন মানুষদের নিয়ে একটা কথা প্রচলিত আছে। এদের বলা হয় ‘Jack of all trades, master of none.’ । কিন্তু মহিউল ইসলাম মিঠু যেভাবে এগুচ্ছেন এ গতি ধরে রাখতে পারলে একসময় সে অল্প কয়েকজনের অংশ হয়ে যাবেন যারা প্রচলিত এ প্রবাদ মিথ্যে প্রমাণিত করে নিজের এরিনায় মাস্টার হয়ে উঠেছেন।
যাবতীয় প্রশংসা দেখে পাঠকের হয়তো মনে হতে পারে মহিউল মিঠু বুঝি সুপারম্যান জাতীয় কিছু। না; যখন তিনি উপরে বর্ণিত কিছুই নন, তখন তিনি খুবই সাধারণ নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ যার অধিকাংশই তিনি ব্যয় করেন নিজের ভেতরের অনিশ্চয়তার সাথে যুদ্ধ করতে, যাবতীয় জিনিস নিয়ে হা-হুতাশ আর আক্ষেপ করতে, নইলে বন্ধুদের সাথে গল্পে মেতে উঠতে; আর যখনই এগুলো খুব বেশি হয়ে যায়, কোন বইয়ের পাতা খুলে নয়তো কলম হাতে নিয়ে বসে পড়েন। (লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আর রায়হান, প্রকাশক।)
Knowing things gives Moheul Islam Mithu a divine satisfaction. So he started reading at his very early years. Reading gradually led him to writing.
He has written lots of short stories for various prestigious Bangladeshi national dailies, magazines and websites. He is a founding member of ‘Ajobdesh’, the first online youth magazine of Bangladesh.
He translated some popular books from different genre for various leading publication companies of Bangladesh and earned love as a translator from wide range of readers.
Some of his books have been in the lists of national best-sellers.
He was born in Bogura, Bangladesh. His father Zahurul Hoque Zahangir was a government officer and was used to be transferred from one district to another within every couple of years. So, early life of Moheul Islam Mithu was in various districts of Bangladesh.
After completing his Higher Secondary Certificate (HSC) from Government Azizul Haq College, he earned his Bachelor of Social Sciences (BSS) and Master of Social Sciences (MSS) from the Department of Peace and Conflict Studies in the University of Dhaka.
Now he lives in Dhaka with his father, mother, younger brother.
What Moheul Islam Mithu thinks about himself will be found here.
মহিউল ইসলাম মিঠু কৌতুহলী মানুষ। জানতে ভালোবাসেন। এজন্যই সম্ভবত খুব অল্প বয়সেই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। পড়ার অভ্যাসটাই হয়তো ধীরে ধীরে লেখার দিকে ধাবিত করেছিল।
বাংলাদেশে প্রথমসারির জাতীয় পত্রিকা, সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটের জন্য লিখেছেন বিভিন্ন সময়। তিনি বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন কিশোর-ম্যাগাজিন ‘আজবদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। অনেকগুলো জনপ্রিয় বই অনুবাদ করে বিভিন্ন স্তরের পাঠকের আস্থা অর্জন করেছেন, জিতে নিয়েছেন ভালোবাসা। তার অনুদিত কিছু বই বিভিন্ন সময় জাতীয় বেস্ট-সেলারের তালিকাগুলোতে ছিল।
মহিউল ইসলাম মিঠু’র জন্ম বগুড়ায়। বাবা জহুরুল হক ‘জাহাঙ্গীর’, মা মাজেদা হক ‘কণা’। বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। চাকুরীর সুবাদে দুয়েক বছর পর পরই বদলি হতেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। বাবার সাথে মিঠু’র শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুরের বিভাগের বিভিন্ন শহরে। দশটার বেশি স্কুল-কলেজ বদলাতে হয়েছে।
বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারী আযিযুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর শেষ করেছেন।
বর্তমানে বাবা, মা আর ছোট ভায়ের সাথে ঢাকাতে শান্তিময় জীবন কাটাচ্ছেন।(লিখেছেন মেজর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, লেখক)
নিজের ব্যাপারে তার ভাবনাগুলোর একটা অংশ দেখতে পাওয়া যাবে এখানে।