রিভিউ লিখেছেন: হুমায়রা সারা। অসংখ্য ধন্যবাদ। বুক ২ সহ পুরো সিরিজই পেয়ে যাবেন ইনশা আল্লাহ।
বইয়ের নামঃ দি লর্ড অফ দ্য রিংস( বুক 1)
লেখকঃ জে. আর আর টোলকিন
অনুবাদক: মহিউল ইসলাম মিঠু
পৃষ্ঠাঃ 320
মূল্য:400
প্রকাশনী:ঐশ্বর্য প্রকাশ ।
পার্সোনাল রেটিং:4/5
কাহিনী সংক্ষেপ
” দি লর্ড অফ দ্য রিংস”
কে সেই মাস্টার রিংয়ের মালিক?
একটি আংটি যার শাসনে সবাই বাঁধা ।এই সেই রিং যা দিয়ে সব ম্যাজিক রিং নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।আর এই আংটি এখনো তার প্রভুর নিকট ফিরে যেতে চায়!
ঘটনাটি শুরু হয় বিলবো নামে এক হবিট যখন আংটিটি পায়।সাথে পায় অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা।হবিটরা মানুষের প্রায় অর্ধেক লম্বা ।শান্তশিষ্ট গুহাবাসী বলা চলে।এই হবিটদের মাঝে ব্যতিক্রম ছিলো এক হবিট; বিলবো ব্যাগিন্স।গুহাবাসী জীবন ছেড়ে গিয়েছিল দূর পাহাড়ের এক অভিযানে ।সেখানেই পায় এই আংটি।
Photo: Humayra Sara
আমাদের গল্পের এই হবিট:বিলবোর একশো এগারো তম জন্মদিন খুব ধুমধামে পালন করার ইচ্ছা জাগে।যে কথা সেই কাজ।তার একশো এগারোতম জন্মদিনে পুরো হবিটনে (হবিটদের শহর) উৎসব শুরু হয়।একই দিনে জন্মদিন ছিলো ফ্রেডোর (বিলবোর কাজিনের ছেলে) ।
বারো বছর আগে বিলবো ফ্রেডোকে দত্তক নেয়। অনুষ্ঠানের কোনো এক পর্যায়ে হবিটন ছেড়ে চলে যায় বিলবো।ফ্রেডোর জন্য রেখে যায় তার সম্পদ এবং সেই “মাস্টার রিং“।
ফ্রেডোর বিপত্তি ঘটে তখনই ।যখন জানতে পারে এই আংটির মালিক হলো ডার্কলর্ড “সাউরন দ্য গ্রেট“।যার আত্না এখনো আংটির ভিতর আছে।আর এই আংটি যদি তার মালিকের হাতে পৌঁছায় তাহলেই সব শেষ।এই আংটির উপর নির্ভর করছে পুরো পৃথিবীবাসীর জীবন।ধব্বং করতে হবে এই আংটিকে।এজন্য শায়ার(হবিটদের রাজ্য) ছাড়তে হয় ফ্রেডোকে।যেতে হবে মাউন্ট ডুমে।সেখানেই একমাত্র আংটিটি ধ্বংস করা সম্ভব ।মাউন্ট ডুমের পথে সঙ্গী হয় তার তিনবন্ধু।
এক দুর্ধর্ষ এডভেঞ্চারের পথে পা দেয় তারা।একদিকে পদে পদে বিপদ অন্যদিকে আংটি রক্ষার দায়িত্ব ।পথে যেতে যেতে তারা ব্ল্যাকরাইডার ( সাউরনের অনুচর) দের খপ্পরে পড়ে।এরপর কী ঘটেছিল তারা কী পেরেছিলো তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে ?নাকি আংটি চলে যায় অশুভ শক্তির আঁধারে?জানতে হলে পড়তে হবে “দি লর্ড অফ দ্য রিংস“।
পাঠ্যপ্রতিক্রিয়া:
কী বলবো ,আমি যেন এক রূপকথার রাজ্যে ঘুরে এলাম। পুরো বইটি মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছি।হারিয়ে গিয়েছিলাম কল্পনার রাজ্যে।বইয়ের কবিতাগুলো আমার বিশেষ নজর কেড়েছে।অনুবাদ হলেও এতো চমৎকার ছন্দ কীভাবে সম্ভব তাই ভাবছিলাম !বইয়ের এক অংশে তিনুভিয়েল ও বেরেনের প্রেমকাহিনী ;(প্রচলিত রুপকথা) কেনো জানি মনে দাগ কেটেছে।হারানো এক ভালোসার গল্প!
“বিটপী বিথীর সজল করুণ পাতায় পাতায় ,
উঠল রোদন প্রেম হারানোর করুণ ব্যথায়।
প্রেমিক মন রয়ে গেল সেথা চির অপেক্ষায় ,
ফের কোনোদিন ফিরে পাবার সূক্ষ্ম আশায়।“
আমিও রইলাম” দি লর্ড অফ দ্য রিংস “(বুক -2) পড়ার সূক্ষ্ম আশায়।
হ্যাপি রিডিং!
বইটি সম্পর্কে সব বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: দি লর্ড অফ দ্য রিংস (বুক ১) – বই পরিচিতি