অনলাইনে বইয়ের-দোকানে

১৯৯০’র দশকে জন্ম নেয়া বইপড়ুয়ারা জানে, বই না পাওয়ার কষ্ট কাকে বলে। বিশেষ করে আমরা যারা ছোট শহর আর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বেড়ে উঠেছি তাদের জন্য এলাকার বেইয়ের দোকানে পছন্দের বই পাওয়াটা এক কথায় ছিল অসম্ভব। বছরে ছয়মাসে একবার বড় বড় শহরগুলোতে আসতাম বই কিনে নিয়ে যেতাম। দেখা যেত, যেগুলো কিনতে চেয়েছিলাম সেগুলোর বেশিরভাগই কেনা যায়নি, কারন দোকানেই সেই বই থাকত না বেশিরভাগ সময়। আমাদের অবস্থা ছিল যাই পাই তাই খাই টাইপ।

আমাদের কাজ ছিল, এলাকার পাবলিক লাইব্রেরি আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ঘুরে পুরাতন বই পড়া আর পত্রিকায় নতুন প্রকাশিত বইয়ের বিজ্ঞাপন দেখা। নতুন বই দেখার জন্য মন আকুপাকু করত কিন্তু বই পেতাম না। বন্ধুদের একজন বই কিনলে, সেই বই নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত। কে আগে পড়বে। আর যে আগে পড়ে কাহিনি বলে দেবে, তার কপালে শনি।

এখন অবস্থা আর তেমন নেই। দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, পছন্দের বই অর্ডার করলে বই পৌছে যাবে দরজায়। বইয়ের জন্য সেই অদ্ভূত মধুর হাহাকার করার সুযোগটা বন্ধ হয়ে গেছে।পছন্দ বা আগ্রহের বইটা পড়ার ইচ্ছাটা মাটি হচ্ছে না ভুলেও।

এই পোস্টে দেশের প্রথমসারির কিছু অনলাইন বুকস্টোরে আমার প্রোফাইল লিংকগুলো শেয়ার করতে চাচ্ছি।

রকমারি

অনলাইন বুকস্টোরের আলাপ আসলে সম্ভবত সবার আগে আসবে “রকমারি”র নাম। বিভিন্ন অফার, দ্রুত ডেলিভারি, আর বইয়ের বিরাট কালেকশন নিয়ে বাংলাদেশের পাঠকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে।

রকমারিতে আমার বইগুলো দেখতে ও অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে

রকমারি প্রোফাইল

মাঝে মাঝেই আমি একটা সমস্যা ফেইস করছি। সেটা হল, অনলাইন ‍বুকস্টোরে আমার প্রোফাইলে এমন কিছু বই পাচ্ছি যেগুলোর সাথে আমার কোনে সম্পৃক্ততা নেই। এব্যাপারে রকমারি এবং সংশ্লিষ্ট প্রকাশকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রথমে একবার এধরনের বইগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার কেন যোগ করা হয়েছে জানিনা। এব্যাপারে বারবার বলেও তাদের আটকানো যাচ্ছে না। তাই এজন্যই অনেকটা বাধ্য হয়েই এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটা তৈরি করেছি। যাতে আমার পাঠকরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারে যে ঠিক কোনগুলো আমার বই আর কোনগুলো নয়। আজকে পর্যন্ত (১১ নভেম্বর ২০১৯) আমার রকমারির প্রোফাইলে দুটো বই দেখা যাচ্চে যেগুলো আমার নয়। বইগুলো হল: বারাক ওবামার লেখা ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার এবং এপিজে আবদুল কালাম লার্নিং হাউ টু ফ্লাই (হার্ডকভার)।

বইবাজার

আরেকটি অনলাইন বুকশপ যেটি বাংলাদেশের পাঠকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে সেটা হল, বইবাজার ডট কম।ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট, এবং ক্রেতাসেবার জন্য বইবাজার বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তাদের সার্ভিস আরো ভালো হবে।

বইবাজার প্রোফাইল

বইবাজারে আমার বইগুলো দেখতে ও অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে

আমার বই নয় তবুও আমার প্রোফাইলে দেখানো হচ্ছে, বইবাজার প্রোফাইলেও এমন বই আছে। চারটা। ১. দ্য স্ট্রাগল ইজ মাই লাইফ – নেলসন ম্যান্ডেলা। ২. রহস্যময় ঘড়ি। ৩.লার্নিং হাউ টু ফ্লাই। ৪. দি স্কুল ফর রবিনসন।

ইত্যাদি শপ

অনলাইন বুকস্টোরগুলোর মধ্যে ইত্যাদি শপে ডেলিভারি চার্জ সবচেয়ে কম। মাত্র ৩০টাকা। আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের সার্ভিস কখনও ব্যবহার করিনি। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

ইত্যাদি শপ প্রোফাইল

ইত্যাদি শপে আমার বইগুলো দেখতে ও অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে যথারীতি এখানেও আমার নয় তবুও আমার প্রোফাইল থেকে চালানো হচ্ছে এমন বই দেখা যাচ্ছে। পাঠকরা আশা করি আমার ‍বুকলিস্ট দেখে এব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেবেন।

এগুলো ছাড়াও অন্যান্য সব অনলাইন ‍বুকস্টোর ও চেইনশপগুলোতে আমার বইগুলো পাওয়া যাবে। কিছুদিনের মধ্যেই কোনোরকম ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই খুব সবচেয়ে কম দামে আমার সবগুলো বই অর্ডার করা যাবে আমার ফেসবুক পেজে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়িই সার্ভিসটা শুরু করতে পারব।

ইবুক

এতক্ষণ তো গেল হার্ডকভার বইয়ের কথা। সবচেয়ে সহজে সবচেয়ে কম খরচে বই পড়ার অত্যাধুনিক অপশন হল ইবুক। আমার বইগুলোর প্রায় সবকটিই ইবুক ফরম্যাটে পাওয়া যাচ্ছে বইটই ও সেইবই অ্যাপে। এক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ বইটই।

বইটই প্রোফাইল

বইটইতে আমার বইগুলো দেখতে করতে এখানে ক্লিক করুন এখানে তবে পড়ার অপশন থাকছে না। (এই ওয়েবপেইজের উপরে ডানদিকে ‘গেট ইট অন গুগল’ বাটনে ক্লিক করেও বইটই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন) পড়ার জন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে বইটই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করে “মহিউল ইসলাম মিঠু” বা বইয়ের নাম লিখি সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।

পরবর্তীতে ইবুক নিয়ে একটা পোস্ট করার ইচ্ছা আছে আমার। সেখানে এসব নিয়ে বিস্তারিত লিখতে পারব আশা করি।

Author: Moheul I Mithu

মহিউল ইসলাম মিঠু কৌতুহলী মানুষ। জানতে ভালোবাসেন। এজন্যই সম্ভবত খুব অল্প বয়সেই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। পড়ার অভ্যাসটাই হয়তো ধীরে ধীরে লেখার দিকে ধাবিত করেছিল। তার পাঠকপ্রিয় অনুবাদ গুলোর মধ্যে রয়েছে: দি হবিট, দি লর্ড অফ দ্য রিংস, পার্সি জ্যাকসন, হার্ড চয়েসেজ, দি আইস ড্রাগন, লিজিয়ন, প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে, দি আইভরি চাইল্ড ইত্যাদি। বাংলাদেশে প্রথমসারির জাতীয় পত্রিকা, সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটের জন্য লিখেছেন বিভিন্ন সময়। তিনি বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন কিশোর-ম্যাগাজিন ‘আজবদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। বিশ্বখ্যাত ২০টির বেশি বই অনুবাদ করে বিভিন্ন স্তরের পাঠকের আস্থা অর্জন করেছেন, জিতে নিয়েছেন ভালোবাসা। তার অনুদিত কিছু বই বিভিন্ন সময় জাতীয় বেস্ট-সেলারের তালিকাগুলোতে ছিল। (লিখেছেন: লে: কর্নেল রাশেদুজ্জামান)

Share This Post On

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link
Powered by Social Snap