বই: দি আইস ড্রাগন
লেখক: জর্জ আর. আর. মার্টিনঅনুবাদ: মহিউল ইসলাম মিঠু
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯
প্রকাশক:
ইবুক: বইটই অ্যাপ
দাম: ২১ টাকা
কাহিনী সংক্ষেপ
অনেক অনেক বছর আগে। পৃথিবীময় যখন ড্রাগন আর ড্রাগন, এই গল্পটা সেই সময়ের। চারপাশে যখন ড্রাগনের এমন প্রাচুর্য তখনও “আইস ড্রাগন” ছিল অতি দূর্লভ। দুই একটা কালে ভদ্রে দেখা যেত বটে, কিন্তু মানুষ তাদের এড়িয়ে চলত। এড়িয়ে চলত কারণ ভয় পেত।
এমন সময় অ্যাডারার সাথে বন্ধুত্ব হল এক আইস ড্রাগনের। ছোট্ট অ্যাডারা, বয়স মাত্র সাত। এমন সময় রাজায় রাজায় শুরু হল ভীষণ যুদ্ধ। বাঁচতে হলে এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে অ্যাডারাদের সবাইকে। কিন্তু পালালে তো আইস ড্রাগনের সাথে আর দেখা হবে না।
জর্জ আর. আর মার্টিনের এই গল্প ছোট্ট মেয়ে অ্যাডারার বালখিল্যতার মোড়কে মোড়ানো এক নিগূঢ় বন্ধুত্বের গল্প, বন্ধু-বিয়োগের সূ² অথচ গভীর এক বেদনার গল্প। হৃদয়ের গভীরের মরচে পড়া কিছু অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেয়ার গল্প।
পেছনের কথা
বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে। ‘গেম অব থ্রোন্স’ প্রকাশের দেঢ় দশকেরও বেশি সময় আগে।কিন্তু আর আর মার্টিনের আইস অ্যান্ড ফায়ার ইউনিভার্সের জন্ম এই বই দিয়েই। সাহস, ত্যাগ, আর বন্ধুত্বের এই ছোট্ট শিশুতোষ বইটি মনে যে দাগ কেটে যায় সেটা বহুদিন রয়ে যাবে। মানবমনের চিরন্তন বৈপরীত্যের যে সহজ কিন্তু শক্তিশালী প্রকাশ মার্টিনের লেখায় পাওয়া যায়, এই ছোট্ট বইটাতেও তা পাওয়া যাবে।
বইটা পড়ারা সময় শান্তিময় এক শান্ত অনুভূতি আমাকে ঘিরে ছিল। পড়ার পরই আমি জানতাম, আমি বইটা অনুবাদ করতে চাই। অনুবাদ করতে গিয়ে আনন্দটা পেয়েছি আরো বেশি। কারন আমার মনে হয় অনুবাদ করার জন্য যখন ভাবতে হয় তখন সাহিত্যের বাহ্যিক পর্দাটার ভেতরের ব্যাপারগুলো সামনে আসার ফুসরত পায়। পড়ার সময় বইটা শুধু ভালো লেগেছিল। অনুবাদ করার পর এটার ফ্যান হয়ে গেছি।
বইটাতে যে আনন্দ আছে বাংলা অনুবাদে সেটার শতভাগ পাঠকের কাছে পৌছে দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই জানি। তবুও কিছুটা হয়তো পেরেছি। তাতেই আমি খুশি। আমার পাঠকরাও সেটুকুতে অসন্তুষ্ট হবেন না, সেটাও জানি। তবে শেষে বলতে চাই, বইটা নিয়ে আমি গর্বিত। আমার কাছে একটা ভালো কাজ, সারাজীবনের সম্পদ। তাই গর্ব হলে দোষ দেয়া যায় না, তাই না? যতবার আমি বইটার দিকে তাকাবো ভালো লাগবে। জীবনের অর্থ নতুন মাত্রা পাবে। তবে ভালো একটা কাজ যে মানসিক শান্তিটা দেয়, তার সাথে আর কিছুরই তুলনা চলে না।
এ তো গেল আমার কথা। পাঠকদের অনেকেরই হয়তো ভালো লাগবে না আমার অনুবাদ। তাদের বলব, অনুবাদ ভালো না লাগলে, অরিজিনালটাই পড়ুন। বইটা ভালো। সাইজেও ছোট, বেশি সময়ও লাগবে না।
নভেম্বর মাসেই বইটার ইবুক পাওয়া যাবে। হার্ডকভার বাজারে আসতে কিছুদিন লেগে যেতেও পারে। পেপারব্যাক করার ব্যাপারেও কথা চলছে।
পড়ে দেখুন দি আইস ড্রাগন
ইলাস্টেশন সহ বইটির কিছু অংশ পড়ে দেখতে ক্লিক করুন- দি আইস ড্রাগন (কিছুটা পড়ে দেখুন)
অনুবাদকের কথা
বইটা শেষ করার পর আমি কিছু কথা লিখেছি। নিজের কথা, বইয়ের কথা , সবকিছুর পেছনের কথা। সেগুলো পাবেন এখানে – অনুবাদকের কথা।
পাঠক প্রতিক্রিয়া
বইটির প্রথম পাঠক প্রতিক্রিয়া আমরা পেয়েছি জান্নাতুল ফেরদৌস্ ইপ্তির কাছ থেকে। রিভিউটি পড়তে ক্লিক করুন: পাঠক প্রতিক্রিয়া – দি আইস ড্রাগন
আরেকটি পাঠক প্রতিক্রিয়া নিশাত আনজুম সেমন্তীর: http://mithu.info/ice-dragon-reader-revies/
প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আব্দুল্লাহ আর রায়হান:
প্রয়োজনীয় লিংক:
বইটই অ্যাপ থেকে বইটি পড়তে পারবেন। প্রথমে প্লে-স্টোর থেকে বইটই অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে। তারপর “মহিউল ইসলাম মিঠু” সার্চ করলেই আমার সবগুলো বই দেখতে পাবেন। পছন্দের বইটি ডাউনলোড করলেই হল। বিকাশ, রকেট, গুগল পে সহ প্রায় সব ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা যাবে। বইটই অ্যাপের ডাউনলোড লিংক।
দি আইস ড্রাগন ইবুক ডিরেক্ট লিংক।
সেইবই অ্যাপেও পাওয়া যাচ্ছে
সেইবই লিংক: https://sheiboi.com/Book/BookDetails?bookId=3098
সেইবই অ্যাপের ডাউনলোড লিংক:
গুগল প্লে স্টোর > https://goo.gl/GxoVGb
অ্যাপল অ্যাপ স্টোর > https://goo.gl/AZPykb