রিভিউ লিখেছেন নিজাম উদ্দিন অপু।
বইয়ের নামঃ লিজিয়ন
লেখকঃ ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসন
অনুবাদকঃ মহিউল ইসলাম মিঠু
প্রকাশকঃ ঐশ্বর্য প্রকাশ
জনরাঃ সাই-ফাই
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৬
মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা
পার্সোনাল রেটিংঃ ৭/১০
কাহিনী সংক্ষেপঃ
স্টিফেন লিডস| মানসিক রোগী নাকি জিনিয়াস? এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে নেই। কিন্তু তার নিজের জীবন চলে নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজে। যেসব প্রশ্নের কোনো উত্তর কারো কাছে থাকে না সেইসব উত্তর বের করাই তার কাজ। স্টিফেনের কাছে একটা সাদা খাম এসেছে। নাম ঠিকানা কিচ্ছু নেই খামে। ভেতরে শুধু একটা ফটোগ্রাফ। কিন্তু ফটোগ্রাফটা যেই সময়ের সেই সময় ক্যামেরা নামক যন্ত্রটার অস্তিত্বই ছিল না। আবিষ্কৃতই হয়নি। কয়েকদিন পর আবার একই ধরনের ছবি আসল আরও একটা। যখন ক্যামেরাই ছিল না সেই সময়কার ছবি আসল কিভাবে? তাহলে কি ক্যামেরা আবিষ্কারের ইতিহাস ভুল জানি আমরা? নাকি এইসব ছবি টাইম ট্রাভেলের ফলাফল? নাকি নিছক ফটোশপের কারসাজি দিয়ে ধাপ্পাবাজি করার চেষ্টা করছে কেউ? আর এই সবকিছুর সাথে স্টিফেনের হারানো ভালোবাসার সম্পর্কটাই বা কোথায়? কৌতূহলী হয়ে উঠল স্টিফেন। জড়িয়ে পড়ল এক অন্যরকম রহস্যের জালে। কি সেই রহস্য জানতে হলে বইটি পড়ুন।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
কাহিনীর শুরু খুব ধীরগতির কিন্তু যত ভিতরে যেতে থাকবেন ততই আপনাকে চুম্বকের মতো ধরে রাখবে। প্লট বেশ ইন্টারেস্টিং। কিন্তু গল্পের বিস্তৃতি আরো বড় হওয়া প্রয়োজন ছিল। পাঠক যখন মাত্র গল্পের জগতের সাথে যুক্ত হতে নিচ্ছে ঠিক তখনই ঘটনা শেষ। স্বল্প দৈর্ঘ্যের কারণে চরিত্রগুলোও ভালোভাবে ডেভলেপ করা যায় নি। কিন্তু পুরো সময় ধরে একটা টান টান উত্তেজনা বজায় ছিল। যদিও জনরাতে সাইফাই লেখা কিন্তু বইটি বিজ্ঞান, ধর্ম আর দর্শনের এক অসাধারণ মিশ্রণ। অনুবাদের কথা বলতে গেলে বেশ সাবলীল অনুবাদ করেছেন তিনি। মনে হয়নি কোনো অনুবাদ বই পড়ছিলাম। একদম ঝরঝরে অনুবাদ বলতে যা বোঝায় আর কি। বইয়ের প্রডাকশন বেশ ভালো। হালকা পাতলা বানান ভুল আর টাইপিং মিস্টেক আছে। কিন্তু তা পড়াতে খুব একটা বিঘ্ন ঘটায়নি। সর্বোপরি বেশ উপভোগ্য বই। সবাই পড়ে দেখতে পারেন।
লিজিয়ন বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: লিজিয়ন-বই পরিচিতি